
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে মো. মাসুদ মিয়া (৪৫) নামে শ্রমিকদলের নেতাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রাণী ভৌমিক তাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। মাসুদ উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্ধীগাঁও গ্রামের আলী আকবরের ছেলে ও ঝিনাইগাতী উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
উপজেলা প্রশাসন ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইগাতীর মহারশি ও সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রাণী ভৌমিকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান। এ সময় ঝিনাইগাতী-রাংটিয়া সড়কের ডাকাবর এলাকায় অনুমোদিত বালুবোঝাই একটি গাড়ি আটক করা হয়। পরে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ১৫(১) ধারায় ওই গাড়িতে থাকা হেলাল, হজরত, আজিমউদ্দিন ও মনিরাজকে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার পর উপজেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ আরমানের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোক রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের সামনের সড়ক অবরোধ ও ইউএনওর কার্যালয় ঘেরাও করেন। এ সময় বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা দণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের মুক্তি দাবি করেন এবং ইউএনও, সহকারী কমিশনারসহ স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকের নাম ধরে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেন।
পরে শেরপুর থেকে সেনাবাহিনীর সদস্য ও ঝিনাইগাতী থানার পুলিশের সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অবৈধভাবে বালু ব্যবসা পরিচালনা করা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মাসুদ আরমানকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনিন্দিতা রাণী ভৌমিক। রাতেই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত মাসুদের বিরুদ্ধে অবৈধ বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিবার্তা/মনির/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]