নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভিকটিমের মায়ের দায়ের করা মামলায় সজিব ও রাজন নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরআগে,সকালে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে বড় বোনের বাড়ি পশ্চিমচাঁদপুর থেকে নিজ বাড়ী আমিশাপাড়া ইউনিয়নের পানিয়া শালা গ্রামের উদ্দেশ্যে রিকশা করে যাচ্ছিল ওই ছাত্রী। পথে আমিশাপাড়া বাজারে রিকশা স্ট্যান্ডের জাহান প্লাজার সামনে নামে সে। এসময় বজরগ্রাঁও গ্রামের পন্ডিত বাড়ির নুর নবী বাহারের ছেলে সজিব হোসেন (২৫) শিশুটিকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে সিএনজিতে তুলে নেয়। পরে কিছু দূর যাওয়া পর সোহাগ ও শুক্কুর মিয়ার বিল্ডিং এর সামনে সিএনজিটি বন্ধ করে দেয়। সে শিশুটিকে কিছুক্ষণ টিভি দেখানোর কথা বলে দলিল লেখক সহিদ উল্যাহ সোহাগের বিল্ডিং এর ৫ম তলার ১টি বন্ধ কক্ষের তালা খুলে শিশুটিকে ভিতরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে বখাটে নাঈম (২৫) ও রাজন (২৪) ছিলো। এসময় তারা ভিকটিমকে আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে শিশুটিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে একটি রিকশা ভাড়া করে দেয় তারা ।
এসময় ভিকটিমের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুুলিশে খবর দেয়।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিশুটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিবার্তা/সুমন/আবদাল