মাছের সঙ্গে শত্রুতা!
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৮
মাছের সঙ্গে শত্রুতা!
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে দুর্বৃত্তদের বিষ প্রয়োগের ফলে পাঁচ লাখ টাকার মাছ মরে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়া এলাকায় এক একর জমির মাছের প্রজেক্টে বিষ দেওয়া হয়।


এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে যাওয়ায় ভুক্তভোগী মৎস চাষি ইয়াকুব আলী এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রায় কয়েক বছর ধরে লালনপালন করে আসা পুকুর ভরা মাছে এ সময়ই বিক্রির মৌসুম। কিন্তু এমন সময় এই দুঃসংবাদ পেয়ে মুষড়ে পড়েন ইয়াকুব আলী।


চোখেমুখে হতাশা নিয়ে ইয়াকুব আলী বলেন, সকালে পুকুরে এসে দেখি মাছ মরে ভেসে আছে। এ সময় পুকুর পাড়ে মাছ মারার জন্য ব্যবহৃত একধরনের বিষাক্ত ট্যাবলেট পড়ে থাকতে দেখি। রাতের আঁধারে কে বা কাহারা এই বিষ প্রয়োগ করে আমার ঘেরের পাঁচ লাখ টাকা দামের মাছ মেরে ফেলেছে।


পূর্ব কোনো শত্রুতা বা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এ ঘটানো ঘটায়। এমন জঘন্য কাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন ভুক্তভোগী মৎস্য খামারি ইয়াকুব আলী। তিনি বলেন, আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমি দুর্বৃত্তদের শাস্তি চাই।


ইয়াকুব আলীর ছোটভাই ইজ্জত আলী বলেন, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতেই পুকুরে মাছ নিধন করেছে চক্রান্তকারীরা। পুলিশ প্রশাসন যেন বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় নেয়, এ জন্য আমরা ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ করেছি।


প্রতিবেশি ফজলুর হক ও গজর উদ্দিন বলেন, ইয়াকুবের মাছ চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। কে বা কারা মাছভর্তি পুকুরে বিষ দিয়েছে। পুকুরে থাকা সব মাছ মারা গেছে। যারা এ কাজ করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।


বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: সাইয়েদুল মোফাচ্ছালীন বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের যেকোনো প্রকার প্রণোদনা বা সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা এই ক্ষতিগ্রস্ত খামারিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেব। মাছচাষি ইয়াকুব আলী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি।


কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। এমন অপরাধের সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।


উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ উপজেলায় মাছের পুকুর বা ফসলের জমিতে এমন দুর্বৃত্তদের আক্রমণ প্রায়ই ঘটে। দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিলে অনেকাংশেই কমে আসবে বলে মনে করছেন এ খাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।


বিবার্তা/হাসানুজ্জামান/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com