
আজ ২২ শ্রাবণ (৬ আগস্ট)। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম মহাপ্রয়াণ দিবস। তবে প্রয়াণ দিবসে কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে নেই কোন আয়োজন। অথচ ২৫শে বৈশাখ কবির জন্ম জয়ন্তীতে এই কুঠিবাড়িতে তিল ধারণের জায়গা থাকেনা। কবিভক্ত, সাহিত্যিক, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও দর্শনার্থীদের পদভারে পূর্ণ থাকে কুঠিবাড়ির আঙ্গিনা।
নানা অয়োজনে ৩দিন ব্যাপী দিবসটি পালিত হয় জাতীয়ভাবে। অথচ কবির সেই স্মৃতিধন্য শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে শুনসান নিরবতায় পালিত হচ্ছে কবির মহাপ্রয়াণ দিবস। কবির মহাপ্রয়াণ দিবসও যেন জাতীয়ভাবে পালন করা হয় সেই দাবী জানিয়েছেন কুঠিবাড়িতে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ও কবি ভক্তরা।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাণের টানে কুঠিবাড়িতে ছুটে এসেছেন বারবার। দীর্ঘসময় কাটিয়েছেন তিনি এখানে। এখানে বসেই কবি রচনা করেছেন কালজয়ী সব কাব্যগ্রন্থ, ছোট গল্প, নাটক ও উপন্যাস। যে গীতাঞ্জলী কাব্য রচনা করে কবি নোবেল বা বিশ্বজয় করেছিলেন, সে কাব্যের প্রায় পুরোটাই তিনি রচনা করেছিলেন তাঁর স্মৃতিধন্য শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে বসে। এখানে কবির জন্মবার্ষিকী খুব ধুমধাম করে পালন করা হয়। কিন্তু মহাপ্রয়াণ দিবসে এখানে তেমন কোন আয়োজন না থাকায় এ নিয়ে চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন দেশের নানাপ্রান্ত থেকে কুঠিবাড়িতে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ও কবির ভক্তরা। তাদের দাবী কবিগুরুকে জানতে ও নতুন প্রজন্মকে জানাতে কবির মহাপ্রয়াণ দিবসটিও জাতীয়ভাবে পালন করা হোক।
তবে ২২ শে শ্রাবণ কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে কোন আয়োজন না থাকলেও পরদিন ২৩ শে শ্রাবণ বিকেলে কুমারখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঘরোয়া পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কুঠিবাড়ির কাষ্টোডিয়ান আল আমিন।
বাঙ্গালীর আত্মপরিচয়ের জায়গা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাইতো আপন স্বত্মায় মিশে থাকা কবিগুরুকে জন্মবার্ষিকীর আদলে প্রয়াণ দিবসও স্মরণ করা হোক মর্যাদার সাথে, এমন দাবী কবিভক্তসহ সকলের।
বিবার্তা/শরীফুল/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]