
ফেনীতে থাইল্যান্ডের নাগরিককে (৪০) ধর্ষণ ও মারধরের মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোকসুদুর রহমান (৪৮)। সে সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের নোয়াবাদ মুসলিম মেম্বার ভুঁইয়া বাড়ির আব্দুর রবের ছেলে।
জানা গেছে, জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও বর্তমানে থাইল্যান্ডের ওই নাগরিক হংকং-এ একটি মুদির দোকানের ব্যবসা করেন। সেখানে মোকসুদুর রহমানের সঙ্গে পরিচিত হন। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে সেখানে দুজনে মিলে একটি ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে মোকসুদকে ব্যবসা ও বাংলাদেশে জমি কেনার জন্য ২ লাখ ১০ হাজার হংকং ডলার ও কিছু স্বর্ণালংকার দেন ভুক্তভোগী নারী। একসময় অভিযুক্ত সেদেশে ভিসা সমস্যার কারণে কারাগারে গেলে তাকে মুক্ত করেন এই নারী।
এজাহার অনুযায়ী, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোকসুদ বাংলাদেশে চলে এলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। মোখসুদ ভুক্তভোগী নারীকে স্ত্রী পরিচয়ে আত্মীয়স্বজনদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেন। গত বছরের ২২ মার্চ বিয়ের প্রলোভন দেখালে তিনি প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন। একইভাবে মোকসুদ গত বছরের ১২ অক্টোবর আবার ওই নারীকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে তার নিজ ঘরে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল ওই নারী বাংলাদেশে এসে অভিযুক্তের ফেনীর বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন মোকসুদ। এ সময় তার একটি মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন, যেখানে তাদের দুজনের ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ওসি শামসুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় ১৪ এপ্রিল সোমবার ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মোকসুদুর রহমানকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোকসুদকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিবার্তা/মনির/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]