
পঞ্চগড়ের অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিন (৩৬) লাশ তিনদিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে সাড়ে ৯ টায় তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে মরদেটি পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত আল আমীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাতপাড়া এলাকার সুরুজ আলীর পুত্র। নিহত আলামীনের মরদেহ বাড়িতে নেয়ার পরে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয়রা ভীড় করেন মরদেহটি একনজর দেখার জন্য।
১২ মার্চ, বুধবার সকালে তার জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করার কথা রয়েছে জানিয়েছে পরিবার।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পঞ্চগড়ের ভিতরগড় সীমান্ত মেইন পিলার ৭৪৪ এর ৭ নং সাব পিলার এলাকায় ভারতের অভ্যন্তরে আবালুপাড়া এলাকায় আল আমিনের মরদেহ পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। গত ০৮ মার্চ শনিবার ভোরে ভারতের ৪৬ ভাটপাড়া বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের গুলিতে নিহত হয় আল আমিন। এ ঘটনায় মরদেহ ফেরতসহ প্রতিবাদ জানাতে সোমবার বিজিবি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে ভারতের রাজগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর মঙ্গলবার রাতে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এসময় ভারতের রাজগঞ্জ থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর অনুপম মজুমদার ও বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের এসআই নরেশ চন্দ্র দাস, বিজিবি-বিএসএফ সদস্য, নিহত আল আমিনের বাবা সুরুজ আলীসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের এসআই নরেশ চন্দ্র দাস বলেন, ভারতে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তিনদিন পর মঙ্গলবার রাতে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে আল আমিনের লাশ ফেরত দেয় ভারতীয় পুলিশ।
বিবার্তা/গোফরান/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]