স্কোয়াশে স্বপ্ন পূরণের আশা মকবুল হোসেনের
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:১৪
স্কোয়াশে স্বপ্ন পূরণের আশা মকবুল হোসেনের
খানসামা দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মকবুল হোসেন৷ চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তা নিয়ে নিজের ২০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করেছেন অধিক গুণাগুণ সমৃদ্ধ বিদেশি সবজি স্কোয়াশ৷ এই সবজি চাষ করেই সাফল্যের আশায় বুক বাঁধছেন তিনি। শুধু মকবুল নয় এরকম আরও ৬ জন কৃষক স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। উপজেলার মোট ৭ টি স্থানে ৭ জন কৃষক স্কোয়াশ চাষাবাদ করছেন।


মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মকবুল হোসেনের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। এসময় তিনি জানান তার স্বপ্নের কথা।


কৃষক মকবুল হোসেন জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় নিজের ২০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে এই প্রথম স্কোয়াশ চাষ করেছেন তিনি। এতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৮-১০ হাজার টাকা। বর্তমানে স্কোয়াশ কর্তন করে তিনি বিক্রি করেছেন মকবুল হোসেন। বর্তমান বাজারে প্রতি পিস স্কোয়াশ বিক্রি করছেন ২০-২৫ টাকা। এতে তার মূলধন উঠে এসেছে এবং বেশ লাভবান হওয়ার আশা করছেন৷


এদিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কোয়াশ ক্ষেত পরিচর্যা করছেন কৃষক মকবুল হোসেন। তাকে সহযোগিতা করছেন ছোট ভাই। ক্রোয়াশ গাছে ধরেছে ফুল এবং ফল। এই সবজিটি দেখতে মূলত শসার মতো এবং লতা কুমড়ার লতার মতো। আকার ও আকৃতি ভেদে একেকটি স্কোয়াশের ওজন দেড় থেকে আড়াই কেজির মতো।


উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা 'কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের' সহযোগিতায় প্রদর্শনী করা হয়েছে। শীতকালীন সবজি হিসেবে চাষাবাদের জন্য সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এর বীজ বপন করতে হয়। তবে আগাম শীতকালীন ফসলের জন্য আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরে জমিতে এ বীজ রোপণ করা হয়। বীজ রোপণের অল্প দিনের মধ্যেই গাছ বেড়ে ওঠে। ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসে। পরাগায়নের ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়। বীজ লাগানো থেকে ফল তুলতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস।


কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তা নিয়ে এবার মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ লাগিয়েছি। অনেক ভালো ফলন হচ্ছে। আগামী মৌসুমে আরও বেশী করে চাষাবাদ করবো। এই স্কোয়াশ চাষে এলাকার সাধারণ কৃষকরাও বেশ অনুপ্রাণিত হয়েছে।


ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এসএম ফারুক আহমেদ বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য কৃষকরাও এতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এবং স্কোয়াশ চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছে।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, স্কোয়াশ চাষাবাদের শুরু থেকেই ওই কৃষককে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। স্কোয়াশের ফলনও ভালো হয়েছে। আমরা আশা করছি এতে কৃষক মকবুল হোসেন বেশ লাভবান হবেন।


বিবার্তা/জামান/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com