
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নবগঙ্গা নদী ভাঙনে হামিদপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায় গত (সোম ও মঙ্গলবার) দু’দিনে অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারের লোকজন।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকালে খুলনা বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান ও নড়াইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগীরা বলেন, নবগঙ্গা নদী ভাঙনে মুহূর্তের মধ্যে বিষ্ণুপুর গ্রামের রিলু ফকির, মাকসুদ ফকির, মাহাবুর ফকির, রোকেয়া বেগম, মহাদত শেখ, জনি শেখ, ইমদাদ মাস্টার, ঝর্না বেগম, রিপনা বেগম, কালু সরদার, শহিদুল মোল্যাসহ প্রায় ৩০টি পরিবারের বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পরবর্তীতে আরও ১৫-১৬টি পরিবার কিছু মালামাল সরাতে পারলেও রক্ষা হয়নি বসতভিটা। এ ছাড়া তীরবর্তী একটি মসজিদসহ অনেকগুলো পরিবার আতঙ্কেও মধ্যে রয়েছে। অনেকের ফসলি জমিও বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। অতি দ্রুত নদী শাসনের ব্যবস্থাসহ পুনর্বাসনের দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
খুলনা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি অবগত হয়ে সরেজমিনে এসেছেন। তবে শীঘ্রই নবগঙ্গা নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা চিহ্নিত করে স্থায়ী ভাবে ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
বিবার্তা/শরিফুল/রোমেল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]