আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ীতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চন্দনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।

অন্য আহতরা হলেন,চন্দনী ইউনিয়নের সোরাব মন্ডলের ছেলে শামীম (২৪), মো: রফিকুল ইসলামের ছেলে আরাফাত ইসলাম রাফি (১৮) ও সুভাষ এর ছেলে শশী (১৯)।আহতরা রাজবাড়ী সদর হসপিটালের চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সংঘর্ষ নিয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মালিকের (বিএনপি নেতা) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে চন্দনীর বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, জবর দখল, চুরি, ছিনতাই বেড়ে গেছে। এর সাথে জড়িত ভিপি মালিক এর অনুসারীরা। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে এসব অপকর্ম বন্ধ করতে আজ আমরা চন্দনী বাজারের সমাবেশ করি। সেখানে ভিপি মালেকের অনুসারীরা দেশী ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ আমাদের নেতাকর্মী ও ছাত্রদের উপর হামলা করে। তাদের দোকানপাট সহ ১০/১৫ টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

চন্দনী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মালেক (বিএনপি নেতা) বলেন, আমি দীর্ঘ অসুস্থ। আজ কয়েক দিন যাবত ঢাকায় আছি।আমি নিজে যেখানে সশরীরে উপস্থিত নেই সেখানে আমাকে কিভাবে দোষারোপ করে? আমি জানতে পেরেছি যুবদলের দুই গ্রুপের একই স্থানে সমাবেশ ছিলো। সেটা নিয়েই মূলত সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত আছে বলে জানতে পেরেছি।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে।এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি।

বিবার্তা/মিঠুন/এসবি