
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনার এসডিডিপি প্রকল্পের এলইও বিরুদ্ধে অফিসে অনুপস্থিতি এবং প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় একদল ছাত্র উক্ত অফিসে গিয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তার নিকট নানা অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে, কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন উক্ত অফিসের কর্মকর্তারা। এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও অপর এক কর্মকর্তা ছাত্রদের উপস্থিতে অনিয়মের বিষয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ২৮ আগস্ট সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে অফিস চলাকালীন পরিদর্শনে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোস্তফা কামাল চৌধুরী। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ২০-২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ইউএলও এর কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইউএলও ডা. মোছাম্মৎ নইফা বেগম এর বিরুদ্ধে এলডিডিপি প্রকল্পের ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ওঠে।
এলডিডিপি প্রকল্পে প্রাপ্ত বরাদ্দে ৩০০ টাকার খাবারের স্থলে ১৫০ টাকার খাবার সরবরাহ, প্রশিক্ষণ উপকরণ হিসাবে ১০০ টাকার খাতা-কলমের মধ্যে ৩০ টাকার উপকরণ সরবরাহ, প্রতিটি প্রশিক্ষণের জন্য আলাদাভাবে ব্যানার ও ডেকোরেশনের বরাদ্দ থাকলেও একই ব্যানার দিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পাদন করা, এলইও এর মোটরসাইকেল মেরামত বাবদ প্রাপ্ত অর্থ এলইও-কে না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেয়া, বিভিন্ন প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষনার্থী হাজির না হলেও নিজেই স্বাক্ষর করে টাকা তুলে নেওয়াসহ নানা অনিয়ম করার বিষতে ইউএলও এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এ সব অনিয়মের দায়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোসাম্মৎ নইমা এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোস্তফা কামাল চৌধুরীকে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীরা অনুরোধ করেন, অন্যথায় ছাত্র-ছাত্রীরা উক্ত কর্মকর্তার পদত্যাগের হুমকি দেন।
এছাড়া একই অফিসের প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদ হাসান এই অফিসের ইউএলও ডা. মোসাম্মৎ নইমা বেগম এর বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করেন। অন্যদিকে ইউএলও ডা. নইমা বেগম প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে অফিসে অনিয়মিত উপস্থিতিসহ নানা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যপারে বৈষম্য বিরোধো ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয়কর্মী ইফরান বলেন, এক অফিসার ৮ মাস যাবৎ অফিসে অনুপস্থিত, খাবারদাবার সেমিনার ঐ সমস্ত জিনিস কেনামূল্য অর্ধেক অর্ধেক কিন্তু বাজেট করেছে দ্বিগুণ। এগুলো বিষয় নিয়ে যাওয়ার পরে আমাদের কাছে উনারা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এ ব্যপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. জাহিদ হাসান বলেন, অফিসের বিষয় মৌখিকভাবে অনেক কিছু বলা যায় না। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো উপর মহলে পাঠানো হয়েছে তদন্ত করা হবে তখন আপনারা আসবেন।
এ ব্যপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নইমা বেগম কাছে গেলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ ব্যপারে জেলা কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা কামাল চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে রিসিভ করেননি।
বিবার্তা/আকঞ্জি/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]