রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে স্বামী মোহাম্মদ শুভ (২৩) আত্মহত্যার পর কামরাঙ্গীরচর থানার বাথরুমে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্ত্রী মিম আক্তার (২০) আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

৩১ আগস্ট, শনিবার সকালের দিকে ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে স্বামীর লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে স্বামী স্ত্রী মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়। পরে স্ত্রী মিমের উপর অভিমান করে স্বামী শুভ ঘরের লোহার এঙ্গেলের সাথে গলায় ফাঁস দেয়। সকালে বাড়ির লোকজন ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।

পরে মৃতের মা মেরিনা বেগম পুলিশে খবর দিলে তার শনাক্ত মতে মেহেদী হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।

এর আগে স্বামীর মৃতদেহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্ত্রী মিম আক্তার থানার বাথরুমে প্রবেশ করে সেখানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাথরুমে দীর্ঘ সময় থাকায় পর বিষয়টি সন্দেহ হলে তাকে ডাকাডাকি করে। পরে দরজা ছিটকিনি ভেঙ্গে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কামরাঙ্গীরচর থানার পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে তিনি।

কামরাঙ্গীরচর ট্যানারি পুকুরপাড় রক্সির বাড়িতে ভাড়া থাকতো এই দম্পতি। তাদের গ্রামের বাড়ি সাভার লুটেরচর গ্রামে। ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে শুভ। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের মোহাম্মদ আল আমিনের মেয়ে মিমি।

বিবার্তা/এমজে