ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর বাজারের ওয়াবদা মোড়ে অগ্নিকাণ্ডে দুইটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় দুই ব্যবসায়ীর প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনেন্দ্রনাথ চৌধুরী জানিয়েছেন।

সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে বোয়ালমারী পৌর বাজারের মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আচ্চলিক মহাসড়কের ওয়াবদা মোড়ের তানভীর মার্কেটে এ ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে।

সরেজমিন সূত্রে জানা যায়, মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আচ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন জেলার বোয়ালমারী পৌরসদরের ওয়াবদা মোড়ের তানভীর মার্কেটে চার সাটার বিশিষ্ট আধাপাকা টিনসেট পরপর ৪টি দোকান। তিনটিতে অর্পিতা এন্টার প্রাইজে (সন্জয় পাল) মোটরসাইকেলের পার্টস, পেট্রোল, অকটেন ও মবিলের ব্যবসা করেন। সেই সাথে মোটরসাইকেলের সার্ভিসিংয়েরও কাজ করেন। এছাড়া একটি দোকান সাজু মিয়া নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মুদি ও চায়ের দোকানের ব্যবসা করেন। প্রতিদিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায় ব্যবসায়ীরা। রাত ১টার দিকে পথচারীরা সন্জয় পালের দোকানে আগুন দেখতে পেয়ে বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার ফলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে অর্পিতা এন্টার প্রাইজের ৪টি মোটরসাইকেলসহ সব মালামাল ও সাজু মিয়ার মুদি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সন্জয় পাল জানান, ১৫ লাখ টাকা লোন এবং নিজের কাছে থাকাসহ ২৫ লাখ টাকার মালামাল উঠিয়ে ছিলাম দোকানে। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে বাসায় যায়। রাত সোয়া ১টার দিকে খবর পেয়ে দোকানে এসে দেখে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। দোকানে চার কাষ্টুমারের ৪টি মোটরসাইকেলসহ সবকিছু পুড়ে আমার সব শেষ হয়ে গেল।

মঙ্গলবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের বোয়ালমারী ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার রনেন্দ্রনাথ চৌধুরী জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে এসে তিনটা লাইনে পানি ও গ্যাস দিয়ে দেড় ঘণ্টা চেষ্টার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি। দোকানে ধাতব পদার্থ থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। দুই ব্যবসায়ীর সব কিছু পুড়ে গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারবো।

বিবার্তা/মিলু/এসবি