
কুষ্টিয়ায় এ বছর বৈরী আবহাওয়ার পরও কাঁচা মরিচের ফলন ভাল হচ্ছে। ফলে ঝাল মরিচের ভালো দাম পাওয়ায় চাষীদের মুখে ফুটেছে মিষ্টি হাসি। এবার মরিচ চাষে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কয়েকগুণ লাভের মুখ দেখছেন তারা।
কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৭৫২ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে জেলার কৃষি প্রধান উপজেলা দৌলতপুরে চাষ হয়েছে ৩ হাজার ১৩২ হেক্টর জমিতে। বৈরী ও প্রতিকূল আবহাওয়ার পরও মরিচের ফলন ভাল হচ্ছে। প্রতিবিঘা জমিতে মচির চাষে তাদের খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দর ২০০ টাকা কেজি হওয়ায় চাষীরা অতিরিক্ত লাভবান হলেও কাঁচা মরিচের কেজি ১০০ টাকা দরে নেমে আসলে তাতেও চাষীদের উৎপাদন খরচের কয়েকগুণ লাভ হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
জেলার দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চুয়ামল্লিকপাড়া কাঞ্চননগর গ্রামের সফল মরিচ চাষি রানা হোসেন জানান, এ বছর মরিচ চাষে লাভবান হয়েছেন তিনি। বর্তমানে ২০০টাকা কেজি দরে পাইকার বাজারে মরিচ বিক্রয় হচ্ছে। কয়েকদিন আগে ৪০০টাকা কেজি দরেও বিক্রয় হয়েছে। তাই লাভের অঙ্কটা এ বছর উৎপাদন খরচের বেশ কয়েকগুণ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ফসলের পিতৃভূমি দৌলতপুরে মৌসুমের শুরুতে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও বর্তমানে মরিচ চাষের উপযোগী সময় বিরাজ করছে। মরিচের উৎপাদন বৃদ্ধিতে চাষিদের প্রয়োজনীয় প্রণোদনা প্রদান এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ফলে চাষীরা মরিচ চাষে লাভবান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।
মরিচের ঝালে চাষীরা খুশি হলেও অখুশিতে ভোক্তারা। তারপরও দেশের প্রাণ চাষীদের মুখে হাসি থাকলে খুশিতে ভরে থাকবে বাংলাদেশ, এমনটি মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বিবার্তা/শরীফুল/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]