
সাভারের আশুলিয়ায় জাহানারা খাতুন জান্নাতি (২২) নামের এক পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যার পর মরদেহ বিছানায় ফেলে তার স্বামী পালিয়ে যায়।
শনিবার (৬জুলাই) রাতে আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার মিন্নাত আলীর বাড়ি থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জান্নাতি (২২) দিনাজপুর জেলার চিরির বন্দর উপজেলার উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের মো. জামাল উদ্দীনের মেয়ে।
সে আশুলিয়ার ওই বাড়িতে ভাড়া থেকে শারমিন গ্রুপের একটি পোশাক কারখানা অপারেটর পদে চাকরি করতেন বলে জানা যায়। তার স্বামী হাবিবুর রহমান অনিক (২৭) পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. আব্দুল
কুদ্দুসের ছেলে। সেও শারমিন গ্রুপের একটি পোশাক কারখানা হেলপার পদে চাকরি করতো বলে জানা যায়।
পুলিশসূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে জাতীয় জরুরি সেবার নাম্বার ৯৯৯-এ কলে জানতে পারি আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকায় এক নারীকে হত্যার পর লাশ বিছানায় রেখে গেছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের মরদেহের পাশে একটি ডাইরি পড়েছিল। তবে তার
স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিহতের পাশে পড়ে থাকা ডাইরিতে লেখা ছিল ‘আমরা দুইজন ইচ্ছায় মরছি এইখানে কারো দোষ নাই। আমরা নিজের ইচ্ছায় মরছি। আমি আমার বউকে মারছি। বউ আমাকে মারছে। এইখানে বাড়ির কারো দোষ নাই।’
বাড়ির মালিকের মেয়ে সামছুনাহার বলেন, রাতে জান্নাতির অফিস থেকে তিন মহিলা আমাদের বাড়িতে তাকে খুঁজতে আসে। পরে আমার মা তাদেরকে জান্নাতির রুম দেখিয়ে দেন রুমের দরজা বাহির থেকে ছিটকিনি লাগানো ছিল পরে তারা দরজার ছিটকানি খুলে দেখতে পায় বিছানায় জান্নাতির লাশ পরে আছে। এরপরে পুলিশ খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে
থানায় নিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আফজালুল হক জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়ণা তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বিছানায় ফেলে রেখে যেতে পারে।
সাভার/শরিফুল/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]