
নদীবেষ্টিত গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়ার পানি বিপৎসীমায় ছুঁইছুঁই করছে।
২০ জুন, বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুম থেকে জানানো হয়- আজ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র ১ দশমিক ২, ঘাঘট ১ দশমিক ৪৪, করতোয়া ২ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। আর তিস্তার পানি গতকাল বুধবার বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ১৬ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। যা আজ বেড়েছে ৪ সেন্টিমিটার। কন্ট্রোলরুমটির দায়িত্বে থাকা রিয়াজ উদ্দিন রাজু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে । এ কারণের নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
নদীগুলোর পানিবৃদ্ধির কারণে কামারজানি, হরিপুর, ফজলুপুর, কাপাসিয়া, এরেন্ডাবাড়ি, ঘাগোয়া, তারাপুর এলাকায় পানি উঠতে শুরু করছে। গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে বেশ কিছু স্থানে প্লাবিত হচ্ছে। সেই সাথে সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া এলাকায় পানিবৃদ্ধির ফলে কিছু সংখ্যক ঘরবাড়িতে পানি জমেছে। এছাড়া সাদুল্লাপুরের ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধিতে ভাঙন চিত্র দেখা গেছে।
কাপাসিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি পানিবন্দি মানুষরা গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধপানি, টয়লেট, ও আবাসনের অভাব। ধীরে ধীরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ইতোমধ্যে নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি পেয়েছে। এসব এলাকাগুলো দেখা হচ্ছে। আর ভাঙনরোধেও কাজ করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান, বন্যা মোকাবিলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহযোগিতা করা হবে।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]