
বাজারে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলিতে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা করে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কমেছে বলছেন বিক্রেতারা।
ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য সবজির দাম যেমন কমেছে। আলু, পেঁয়াজ আদা ও রসুনের দামও যদি একটু কমতো, তাহলে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য সুবিধা হতো।
আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছুদিন পূর্বে প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে যায় ফলে দামও বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে বাজারে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও কমেছে। অন্য দিকে কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে বেড়েছে আলু, আদা, পেঁয়াজ ও রসুনের দাম।
৩১ মে, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সকালে হিলি বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সবজি বাজারে কথা হয় সাইদুর রহমানের সাথে তিনি বলেন, আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন (৩১ মে) সবজি কিনে একটু স্বস্তি পেলাম। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি পটল, ঢেঁড়শ, বটবটি, ৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। আর আজ কিনলাম ৩০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে কমেছে পুঁইশাক, লালশাক, কলমিশাকসহ অন্যান্য সবজির দাম।
হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মোকলেছার রহমান বলেন, কাঁচা সবজির দাম নির্ভর করে সরবরাহের ওপরে। যখন সরবরাহ বাড়ে, তখন দাম কমে। আবার যখন সরবরাহ কমে, তখন দাম বাড়ে। কিছুদিন আগেই গরমের কারণে সবজির উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহ ও কমে যায়। এখন আবার সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই দামও কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। তবে আলুর দাম কমছে না। আগে ৪৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করতাম। আর এখন ৫৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৬০ টাকায় বিক্রি করছি।
এদিকে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে হিলি বাজারে বেড়েছে, আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও আমদানি বন্ধ থাকার কারণে বাজারে আদা ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আর দেশের বাজারে রসুনের সরবরাহ কমে যাওয়ায় রসুনের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দুই সপ্তাহ আগে যে আদা বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি দরে, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। ১৬০ টাকা কেজির রসুন বর্তমান বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আর ৬৫ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।
হিলি বাজারে কথা হয় রাজা মিয়ার সাথে তিনি বলেন, গত দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে আদা ১৮০ টাকা কেজি দারে কিনে ছিলাম। আজ তা ২৪০ টাকা কেজি হিসেবে কিনতে হলো। আবার ৬৫ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ কিনতে হলো ৭০ টাকা কেজি। এভাবে দাম বাড়লে আমরা চলব কি করে?
আর এক ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, কোরবানির ঈদ আসছে। আদা, রসুন ও পেঁয়াজ সবার প্রয়োজন। কিন্তু এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। ঈদের সময় আরও দাম বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে থাকলে অনেক ভাল হয়।
হিলি বাজারের বিক্রেতা মঈনুল হোসেন বলেন, ভারতে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও পেঁয়াজের আমদানি বন্ধের কারণে আদা ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আর বাজারে রসুনের সরবরাহ বর্তমান কমে যাওয়ার কারণে দাম বেড়েছে। আমদানি ও বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে এসব পণ্যের দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।
বিবার্তা/রব্বানী/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]