
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার ফুট বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তলিয়েছে সুন্দরবন ও করমজল। একই সঙ্গে বেড়েছে উপকূলীয় অঞ্চলের নদ-নদীর জোয়ারের পানি।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ ফুট বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের পানিতে সুন্দরবন তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে করমজলের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। তবে আমাদের বন্যপ্রাণীগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।
খুলনার কয়রা উপজেলার বাসিন্দা নিতিশ সানা বলেন, শাকবাড়িয়া নদীসহ সুন্দরবন ও কয়রা উপকূল এলাকার নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বেড়েছে। ঝড়ো বাতাস বইছে।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বলেস্বর নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়িবাঁধ দুর্বল হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
রায়েন্দা ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা মশিয়ার রহমান ওয়াসিম বলেন, রায়েন্দা ফেরিঘাটে আগের চেয়ে পানি বেড়ে গেছে। রাতে আরও বাড়তে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এম সালাউদ্দীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে চার ফুট পানি বেড়েছে। উপকূল রক্ষা বাঁধের ১২৭ কিলোমিটারের মধ্যে সাত থেকে আটটি পয়েন্টের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে মাটি ফেলে উচ্চতা বৃদ্ধিসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে বাঁধের ভাঙন ও ধস ঠেকানোর প্রস্তুতি হয়েছে।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]