
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার দুইবারের দায়িত্ব পালন শেষে নতুন উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে সমাপ্ত হলো তার ৫ বছরের মেয়াদকাল। দীর্ঘ ৫ বছরে নানান সময়ে নানাভাবে গণমাধ্যমে আলোচনা সমালোচনায় ছিলেন তিনি। ছিল অনিয়মতান্ত্রিকভাবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ। ভিসি হিসেবে শেষ কর্মদিবসে ৪৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে তিনি অব্যাহত রেখেছেন এ কর্মকাণ্ড।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে নতুন উপাচার্য নিয়োগের খবর পেয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পূর্বেই তিনি মজুরির ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, হল ও দফতরে অন্তত ৪৪ জনকে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ব্যাপারে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে আলাদা নিয়োগ বোর্ডের প্রয়োজন হয় না। রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরে নিয়োগ দেওয়ার পর উপাচার্য তা অনুমোদন দেন। এরপর অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগকৃত এসব পদের বিপরীতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে নিয়োগপ্রাপ্তরা এর বিপরীতে আবেদন করে নিয়োগ স্থায়ী করণের সুযোগ পান।
সেই সুযোগে সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিকভাবে লোকবল নিয়োগ করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম নূর আহমদকে একাধিকবার ফোন করা হলে দুজনের কাউকেই ফোনে পাওয়া যায়নি।
তবে ৩য় শ্রেণির কর্মচারী সেলের প্রধান সৈয়দ মনোয়ার আলী বিবার্তাকে বলেন, আমি শুনেছি গতকাল আর আজ মিলে মোট প্রায় ৩০ জনকে ৩য় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের অর্ডার হয়েছে। তবে আমরা এখনো কোনো এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পাইনি। লেটার পেলে সেল থেকে অনুমোদন দেব।
তবে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সেলের প্রধান মো. ওসমান চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন বিবার্তাকে বলেন, আমরা সিন্ডিকেট থেকে একটি কমিটি করে দিয়েছিলাম, যাতে করে কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্তকে না মেনে মনগড়া নিয়োগ দিয়ে গেছেন। সিন্ডিকেটে কমিটি গঠনের তারিখের পর থেকে যতগুলা এরকম নিয়োগ হয়েছে প্রত্যেকটাই অবৈধ।
বিবার্তা/মহসিন/রোমেল/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]