
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার ফকিরনীরহাট বাজার ইজারা পেতে অন্যের নামে দরপত্র জমা দিয়ে নয়-ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সেই নয়-ছয় করা দরপত্র বাতিল করে রি-টেন্ডারের দাবি (পুনঃদরপত্র) করা হয়েছে।
১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে এমন একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন মো. আব্দুল মন্নান নামে এক দরপত্রকারি। তিনি সংশ্লিষ্ট বাজারের তৃতীয় পর্যায়ের দরপত্র বাতিল পূর্বক চতুর্থ পর্যায়ে পুনঃদরপত্র আহ্বানে দাবি জানিয়েছেন।
এমনকি অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে।
জানা যায়, মো. আব্দুল মন্নান বাড়ি কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফকিরনীর হাট বাজার দরপত্রের প্রথম পর্যায়ে ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দরে দরপত্র দাখিল করেন মো. আব্দুল মন্নান। একই সময়ে ভিন্ন দরে দরপত্র দাখিল করেন আবদুল করিম ফোরকান ও শহিদুল ইসলাম।
দ্বিতীয় পর্যায়ে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি একই বাজার দরপত্রে ইজারায় ৬৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা দরে দরপত্র জমা দেন হাজী নুরুল হক, ৬৫ লাখ টাকা দরে রফিক আহমদ ও ৬৪ লাখ ৯৯৯ টাকায় তিন নম্বর টেন্ডারে ছিলেন মো. আব্দুল মন্নান। প্রথম দরপত্রে তিনি শীর্ষে ছিলেন।
সর্বশেষ গত ১১ মার্চ কর্ণফুলী উপজেলাধীন ফকিরনীর হাট বাজার ১৪৩১ বাংলা সনের (১লা বৈশাখ হতে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত) ইজারা প্রদানের লক্ষ্যে ৩য় পর্যায়ে পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে তৃতীয় পর্যায়ে অভিযোগকারী কোন ধরনের দরপত্র শিডিউল দাখিল করেনি বলে জানান। কিন্তু তার অগোচরে কে বা কারা তার নামে দরপত্র জমা প্রদান করেছেন। এতেই প্রথম টেন্ডারকারি হিসেবে অন্যজনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। অথচ ওই দরপত্র সম্পর্কে তিনি অবগত নয়। এটি সম্পূর্ণ অনিয়ম করে করা হয়েছে বলে দাবি তার।
কেননা, তৃতীয় পর্যায়ের দরপত্রে প্রথম হিসেবে ৬৭ লাখ ১০ হাজার টাকা দরে দরপত্র দাখিলকারি হিসেবে নির্বাচিত হন আলহাজ রফিক আহমদ। দ্বিতীয়ত ৬৪ লাখ ১০ হাজার টাকা দরে দরপত্রদাতা দেখানো হয় মো. আব্দুল মন্নানকে। মাঝখানে ব্যবধান ৩ লাখ টাকা কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি কোন দরপত্রই জমা দেননি।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মো. আব্দুর মন্নান বলেন, ‘প্রথম ও দ্বিতীয় দরপত্রে আমি অংশ গ্রহণ করেছিলাম। তৃতীয়বার তো আমি শিডিউল ও জমা দিইনি। কিন্তু আমার অজান্তে কে বা কারা দরপত্র জমা দিয়েছে দেখিয়ে অন্যজনকে বাজার দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। আমি তৃতীয় পর্যায়ের দরপত্র বাতিল চেয়ে রি-টেন্ডারের আবেদন করেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, ‘দরপত্র জমা দেওয়া না দেওয়া ডকুমেন্টসের বিষয়। উনার কাগজপত্র রয়েছে। হাটবাজার ইজারার বিষয়ে আলাদা একটি কমিটিও রয়েছে। সুতরাং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। যদিও রি-টেন্ডারের কোন লিখিত আবেদন এখনো আমার টেবিলে আসেনি।’
বিবার্তা/জাহেদ/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]