
রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজারে বিকাশ দোকানসহ একরাতে ৯ দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকটি দোকান থেকে নগদ টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। একরাতে এতোগুলো দোকানে চুরির ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন দোকান-মালিকরা।
১১ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ভোর ৪টার দিকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের রাজশাহী পুঠিয়ার বানেশ্বর ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন আ. লতিফ সুপার মার্কেটে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
ব্যবসায়ীরা জানায়, চুরি করার সময় চোরের সংঘবদ্ধ দলের পাহারায় দোকানের সাটার ভাজ করে একজন ভিতরে প্রবেশ করে ৯টি দোকান থেকে ২টা মোবাইল ফোন, নগদ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। তবে নগদ টাকা ছাড়া অন্য কোন মালামাল চুরি হয়নি বলে দোকান মালিকগণ জানায়।
চুরি যাওয়া দোকান হলো, আফজাল হোসেনের ঢাকা স্টোর (৯০ হাজার টাকা), রানা টেলিকম (৮ হাজার ২০০ টাকা ), সজিবের স্মার্ট কসমেটিকস (১১ হাজার টাকা), সিয়ামের লাম ইয়া কসমেটিকস (১১ হাজার টাকা), সবুজের নগদ, বিকাশের সিটি কসমেটিক (১ লাখ টাকা), মো. বারির জুইমনি কসমেটিক (৯ হাজার টাকা), আনিস আলীর বুলু বার্ড (১৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং শান্ত হোসেনের মিরাক্কেল দোকানে কোন টাকা না থাকায় কিছু না নিয়ে বের হয়ে যায়।
মার্কেটের বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা থাকলেও ভিতরে একজন মাংকি টুপি পরে চুরি করার দৃশ্য দেখা যায়। চুরি করার সময় সিসি ক্যামেরা ঘুরিয়ে দেয়া হয়। যার কারণে বাকিদের দেখা যায়নি।
একসঙ্গে এতগুলো দোকান চুরি হলো তখন ডিউটিরত নাইটগার্ড কি করল? এমন প্রশ্নের জবাবে বানেশ্বর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জুবায়ের হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বাজারের নাইট গার্ড ভালো ডিউটি করে। কিন্ত এই লতিফ মার্কেটে সামনে থেকে সাটার নামিয়ে দেয়ার কারণে ঘিরে থাকে। যার কারণে বাইর থেকে ভিতরে কিছু দেখা যায় না। ফুটেজ দেখে মনে হলো ভোর বেলায় পেছনের দিক থেকে ঢুকে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
পুঠিয়া থানার ইনচার্জ সাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আসামিদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। চোর চক্রকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
বিবার্তা/রানা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]