পঞ্চগড়ে নির্বাচনি সভায় আচরণবিধি লঙ্ঘনে শোকজের জবাব দিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ২৭ ডিসেম্বর, বুধবার দুপুর ১২টায় পঞ্চগড়-২ আসনের দ্বাদশ নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জর্জ ইসমাইল হোসাইন এর আদালতে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে শোকজের জবাব দেন তিনি।

এসময় মন্ত্রী বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি হল যারা ভোট দেবেন না তাদের নামে একটি তালিকা করা হবে। এটি উসকানি মূলক বক্তব্যের আওতায় এসেছে আচরণবিধি লঙ্ঘনে। এ জবাবে তিনি বলেন, যে দুটি ধারায় আমাকে ডেকেছেন এটি এই ধারায় উসকানিমূলক বক্তব্যে মধ্যে পড়েনা। একজন প্রার্থী হিসেবে আমার দায়িত্ব ভোটারদের আহ্বান করানো ভোট দেয়ার জন্য আর যারা ভোট দিতে আসতেছেন না তাদের তালিকা তো থাকছেই। ভোট দেবেন না, ভোট দিতে আসবেন না এমন বক্তব্য তো আমি দেইনি। তারপরেও যেহেতু নোটিশ করেছেন আমি এসেছি। ভবিষ্যতে আমি সতর্ক থাকবো, যাতে আমাদের যে আচরণবিধি তা যেন আমি নিজেও নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক আমিও অঙ্গীকারবদ্ধ। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসবেনা এধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যের বিষয়ে আমি সতর্ক থাকবো।

উল্লেখ্য, পঞ্চগড়-২ আসনের নৌকার প্রার্থী ও রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলীতে এবং সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী এলাকায় পৃথক নির্বাচনি সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এসময় সভায় নিজ বক্তব্যে রেলমন্ত্রী বলেন, ভোট দিতে না গেলে তাদের তালিকা করার হুমকি দেন এবং বলেন, 'একটি দল বের হয়েছে। তারা বলছে ভোট দেবে না। তাদের কথায় যদি কেউ ভোট দিতে কেন্দ্রে না যায় তাহলে ভোট দেওয়া নিয়ে আমরা দুটি লিস্ট করছি, একটি কারা ভোট দিতে কেন্দ্রে যাচ্ছে, আর একটিতে থাকবে কারা যাচ্ছে না। আপনি সরকারি সুযোগ সুবিধা নিবেন আর নাগরিক অধিকার ভোট দিতে যাবেন না, তা হবে না।' যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা লঙ্ঘন হওয়ায় কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না তার কারণ স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে ২৭ ডিসেম্বর, বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

বিবার্তা/বিপ্লব/এমজে