চুয়াডাঙ্গায় ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:০৯
চুয়াডাঙ্গায় ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চুয়াডাঙ্গায় কনকনে ঠান্ডা বাতাস আর তীব্র শীতের কারণে জনজীবন অনেকটাই থমকে গেছে। শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ অনেকেই নানা ধরনের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।


জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ১৮ ডিসেম্বর, সোমবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয়েছে ৯২ শতাংশ। ১৭ ডিসেম্বর, রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, তাপমাত্রা এখন কয়েকদিন ওঠা নামা করবে। আগামী কয়েকদিন ১০ থেকে ১২ ডিগ্রীর মধ্যে থাকবে। আকাশ আংশিক মেঘলা হবে। তবে রোদ থাকবে।


গত কয়েকদিন একটানা তাপমাত্রা কমতে থাকায় ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালসহ জেলার তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া, শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোতে ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগীকে চিকিৎসা নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে শিশু ওয়ার্ডে ১৪ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসাধীন ৫০ শিশু। কোনো কোনো দিন প্রায় ১০০ শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। যাদের বেশির ভাগই নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্টের সমস্যা।


শিশু ওয়ার্ডের মতোই মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের চাপ বাড়ছে। মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা অ্যাজমা, হাঁপানিসহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত।শয্যার বিপরীতে ৫ থেকে ৬ গুণ রোগী ভর্তি আছে বলে জানা গেছে।


দামুড়হুদা থেকে সদর হাসপাতালে আসা এক রোগীর স্বজন বলেন, বাবা এ্যজমা রোগী। কদিন ধরে ঠান্ডা বাড়ছে। ফলে ওনার হাঁপানি বাড়ছে। চিকিৎসার জন্য এখানে ভর্তি হতে হয়েছে।


এদিকে সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের জন্য আলাদা কোনো শয্যা না থাকলেও অন্তত ৫০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসাধীন থাকেন। গত কয়েকদিনে ৩০০ জন শীতকালীন রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ রোগে আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু।


হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিবছরই শীতকালে শিশুদের নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসসহ শ্বাসকষ্ট এবং বড়দের অ্যাজমা ও হাঁপানির সমস্যা দেখা দেয়। শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে এসব রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।


বিবার্তা/আসিম/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com