
ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষণায় হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকদের গুদামে পেঁয়াজের মজুত নেই। তবে খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ পেঁয়াজ গুদামে মজুত করে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ শূন্য হয়ে পড়েছে। তবে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে ব্যাপক।
গতকাল শুক্রবার সকালে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজ আজ শনিবার হিলি খুচরা বাজারে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষণার সাথে সাথে হিলি খুচরা বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। অল্পকিছু পেঁয়াজ থাকলেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
সাধারণ ক্রেতারা জানান, এভাবে যদি পেঁয়াজের দাম বাড়ে তাহলে আমাদের পক্ষে পেঁয়াজ কেনা দুষ্কর হয়ে পড়বে। তারা পেঁয়াজের দাম কমাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন জানান, ভারত সরকারের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ব্যাপক হারে বাড়বে। আমি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো ভারত সরকারের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করেন। আর কিছুদিন যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হতো তাহলে বাংলাদেশর পেঁয়াজ বাজারে উঠে যাবে। আমরা ধার দেনা করে এলসি করেছি সেই টাকাগুলো তো আর ফেরত পাবো না। এতে করে আমরা ক্ষতিগ্রস্তর মধ্য পড়ে যাবো।
আজ শনিবার পূর্বের এলসি করা ভারতীয় দুটি ট্রাকে ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
বিবার্তা/রববানী/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]