
গোপালগঞ্জে পেন কালচার পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে মাছের ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। এবছর জেলার প্রায় দুই শতাধিক মৎস্য চাষি সমিতি এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে খাবারের খরচ একেবারেই কম হওয়ায় পুকুরের তুলনায় বেশি লাভ পাচ্ছেন চাষীরা।
বর্ষার শুরু থেকে শীতের আগ পর্যন্ত ছয় থেকে সাত মাস পানিতে ডুবে থাকে গোপালগঞ্জের অধিকাংশ বিল। এই সময়ে পেন কালচার পদ্ধতিতে মাছ চাষ অনেক লাভজনক হয়ে উঠেছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় জেলার পাঁচ উপজেলায় ১৩ টি প্রদর্শনী দেয়ার পাশাপাশি উদ্ভুদ্ধকরনের মাধ্যমে গঠিত বিভিন্ন এলাকায় দুই শতাধিক সমিতি এবছর পেনে মাছ চাষ করেছেন। এতে বিলের বৃহৎ এলাকা বানা বা পাটা দিয়ে ঘিড়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে।
বিলের প্রাকৃতিক পরিবেশে এসব মাছের উৎপাদন পুকুরের থেকে বেশি হয়েছে। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
গোপালগঞ্জের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, পেন পদ্ধতিতে মাছ চাষে চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যেই পোনা মাছ প্রায় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পায়। এতে পুকুরের তুলনায় খাবার খরচ কম লাগে এবং উৎপাদনও বেশি হয়।
পেন কালচার পদ্ধতিতে বিলের প্রাকৃতিক পরিবেশে এই মাছ উৎপাদিত হয় বলে গুণে ও মানে অনেক ভালো হয়। এই পদ্ধতিতে অনাবাদি জমি মাছ চাষের আওতায় আনা হলে মাছের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে মনে করছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
বিবার্তা/সঞ্জয়/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]