
বন বিভাগের অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও গ্রেফতারকৃত আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় অবৈধভাবে কাঁকড়া আহরণকারী ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) গভীর রাতে চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা মো. মহসিন বাদী হয়ে মোংলা থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেন।
লিখিত এজাহার পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার জানান, ফরেস্ট অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও আটককৃত আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মোংলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
দাখিলকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্ব সুন্দরবনের বিভিন্ন খাল থেকে অবৈধ পন্থায় চারো (বাঁশের তৈরি চাই) পেতে কাকড়া আহরণ করে ফরেস্ট অফিসে পাশ পারমিট জমা না করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পাচার হচ্ছে এমন গোপন খবর আসে বন রক্ষীদের কাছে।
২১ নভেম্বর ভোরে পশুর নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭১ ক্যারেট কাঁকড়া বোঝাই একটি ট্রলার, ৫টি নৌকা সহ এর সাথে জড়িত ২৫ জেলেকে আটক করে বন বিভাগ।
পরে ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বন বিভাগের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে ১৯ জেলেকে ছিনিয়ে নেয় পাচারকারীরা।
এ ঘটনায় ২২ নভেম্বর গভীর রাতে ফরেস্ট স্টেশন অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও আসামি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে তুলে মোংলা উপজেলার সোনাইল তলা উলুবুনিয়া গ্রামের মৃত এজাহার গাজীর ছেলে মূল পাচারকারী ইসমাইল হোসেন লিটন গাজীকে প্রধান করে ২০ জনের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় এজাহার দাখিল করে বন বিভাগের চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা শেখ মো. আনিছুর রহমান।
এদিকে মামলা দায়েরের আগে বৃহস্পতিবার বিকালে জয়মনি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় তদন্তে যায় মোংলা থানা পুলিশের একটি দল। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামলাটি রুজু করা হয়।
এদিকে একটি সূত্র বলছে, স্থানীয় একটি রাজনৈতিক প্রভাবশালী গ্রুপের সমর্থনে ইসমাইল হোসেন ওরফে লিটন গাজী সহ আরো কয়েকজন চোরাকারবারি দীর্ঘ দিন সুন্দরবনের নিষিদ্ধ খালগুলো থেকে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ করে আসছে। তাদের ওইসব বন কেন্দ্রিক অপতৎপরতা বন্ধে অসহায় হয়ে পড়েছে বন বিভাগ।
বিবার্তা/জাহিদ/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]