নওগাঁর মান্দা উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ হয়েছে অনেক আগেই। এর মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবনটি নির্মাণ কাজ শেষ করে হস্তান্তর করেছেন। নতুন ভবনে এখনো উঠেনি কোন দফতর। তবে ২০২২ সালের ২০ আগস্ট ঘটা করে ভবন ছাড়া শুধুমাত্র হল রুমের উদ্ধোধন করা হয়েছে। এখন উপজেলার সকল অনুষ্ঠান নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানে।
গত ৯ অক্টোবর ২০১৯ সালে সরকার প্রকৌশল অধিদফতর নবনির্মিত ভবন ও হল রুম নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সরকার।
নির্মিত ভবন হস্তান্তর না হওয়াতে পুরানো ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে সকল কার্যক্রম। বিভিন্ন দফতরের অফিস ঘুরে দেখা গেছে, কোন রুমের ছাদ খসে পড়ছে, আবার বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পড়ে পানি, ছাদে জমেছে শ্যাওলা। ভবন নির্মাণের পরেও দিনের পর দিন পুরোনো ভবনে বসে চলছে সকল কাজ। যেন কারো কিছুই করার নেই। অদৃশ্য শিকলে বাঁধা সবাই।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) আওতায় মান্দা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ ১৭ হাজার ২৮৯ টাকা। কাজটি পান আবুল হোসেন এন্ড সোহেল নামে বগুড়া সান্তাহারের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ঠিকাদার সোহেল জানান, আমি গত জুনে ভবনটির কাজ শেষ করে হস্তান্তর করেছি।
উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন,জুন মাসে বিল দেয়ার পর হেডকোয়ার্টার থেকে লোক এসে কিছু ক্রটি বিচ্যুতি পেয়েছে সেগুলো আমরা ঠিক করছি।
তিনি আরও বলেন, ভবনটির সামনে পুরাতন ভবনটিকেও সরাতে হবে। পুরানো ভবন সরানো হলেই আমরা নতুন ভবনটি হস্তান্তর করবো। ভবনটির কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও প্রকৌশলী তা উড়িয়ে দেন।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিবার্তা/আপেল/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]