
হাওর অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে বোরো ধানের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জাত ছিল ব্রি ২৮ ও ২৯। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জাত দুটিতে ব্লাস্টের আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা এ দুটি জাতের ধান আবাদে নিরুৎসাহিত করেছেন কৃষকদের। বিকল্প হিসেবে ব্রি-৮৮,ব্রি-৮৯,ব্রি-৯২, এবং বঙ্গবন্ধু ১০০ ধানের জাত আবাদে উৎসাহিত করেছেন। গত বোরো মৌসুমে ব্রি-৮৮ ধানের জাত আবাদ করে আশানুরূপ ফলন পেয়ে উৎসাহিত হয়েছিল হাওরের কৃষকগণ।
কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই ব্রি ৮৮ ধানের বীজ সংকটে পড়েছে হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কৃষকরা। অনেকের কাছে হয়তো এ খবরের কোন গুরুত্ব নেই। কিন্তু কৃষকের কাছে এ খবর বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো।ব্রি-৮৮ ধানের বীজের পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় কৃষকরা দিশেহারা।
উপজেলার কৃষকরা জানাচ্ছেন, ব্রি-৮৮ ধানের চাহিদা বেশি থাকায় ১০ কেজির প্যাকেট বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ৫৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা ৭০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি। কোন ডিলার যদি বেশি দামে বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
তিনি আরো বলেন, উপজেলায় ব্রি-৮৮ ধানের বীজ ৩১ মেট্রিকটন বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ২৮ জন ডিলারের মাঝে সমপরিমাণে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। গোটা বাংলাদেশই ৮৮ চাহিদা বেশি।রেজুলেশন করে উপরে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিছু আসলে আসতে পারে।’
বিবার্তা/শহীদুল/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]