পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আসামি ছিনিয়ে রাখা সহ পুলিশকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছেন। তাদের কাছ থেকে পুলিশ দুটি পিস্তল , মেগজিন ও গুলি উদ্ধার করেছেন।
৭ নভেম্বর, মঙ্গলবার রাতে থানা পুলিশ বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।
আসামি ছিনিয়ে রাখা ও এ সময় পুলিশকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাতে পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামি রেদোয়ান গোলদারের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ৮ রাউন্ড গুলি, ১টি ছোরা এবং সোহেল মাঝি ওরফে ফল সোহেলের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা পুরিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ শফিউর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে সকল তথ্য জানানো হবে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সোহেল মাঝি ওরফে ফল সোহেল, রেদোয়ান গোলদার, বেলায়েত হোসেন আকন, স্বাধীন, এনামুল হক রনি, হাসান সর্দার, আক্তার নিজাম, মো. রিয়াজ হাওলাদার, মো. বেলাল খান, লাবু বেপারী, মিলন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তারা পৌর সভার সামনে থেকে একটি মামলার আসামি সোহেল মাঝিকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকতৃ ওই সোহেল মাঝি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিনের কর্মী। তাই তাকে ৩০-৪০ জনের একটি দল আসামি সোহেলকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশকে লাঞ্ছিত করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ জানান, ওই গত সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পৌর সভার সামনে আ. লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ কিছু কর্মীরা অবরোধ বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ গিয়ে সেখানে থাকা সোহেল মাঝিকে গ্রেফতার করেন। খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। পরে পুলিশ নিজ উদ্যোগেই সেহেল মাঝিকে ছেড়ে দিয়েছে। কোন আসামি ছিনতাই বা পুলিশ লাঞ্ছিত বা মারধরের ঘটান ঘটেনি।
বিবার্তা/তাওহীদুল/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]