নড়াইলের পাশাপাশি মসজিদ-মন্দির, নির্বিঘ্নে চলছে নামাজ ও পূজা
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:২২
নড়াইলের পাশাপাশি মসজিদ-মন্দির, নির্বিঘ্নে চলছে নামাজ ও পূজা
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নড়াইল শহরের মহিষখোলা গ্রামে একই আঙিনায় চলছে মসজিদ ও মন্দির। প্রায় চার দশক ধরে মিলে মিশে মুসলিম সম্প্রদায়ের ইবাদত আর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনা। সময়মতো হচ্ছে আজান ও নামাজ, নিয়ম করে চলে পূজাঅর্চনাও।


সময় হলে কেউ যাচ্ছেন নামাজে, আর কেউ যাচ্ছেন দেবী দর্শনে। একপাশে চলছে জিকির অন্য পাশে উলুধ্বানি। এক পাশে আতরের সুঘ্রাণ অন্য পাশে ধূপকাঠি। এভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করে পৃথক দুটি ধর্মীয় উপাসনালয়। ধর্মীয় সম্প্রীতির এমন উজ্জ্বল নিদর্শন রয়েছে চিত্রা নদীর পাড়ে নড়াইল পৌরসভার মহিষখোলা গ্রামে মহিষখোলা পুরাতন সাবরেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদ ও মহিষখোলা সার্বজনীন পূজা মন্দির।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোন একসময় নড়াইলের পুরান সাব রেজিস্ট্রি অফিসটি মহিষখোলায় ছিল। সেই কার্যালয়ের পাশেই ১৯৭৪ সালে মহিষখোলা পুরাতন সাব রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদ নামে এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৯২ সালে নতুন করে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় মহিষখোলা সার্বজনীন পূজা মন্দির। নিজস্ব জায়গায় মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।


২৩ অক্টোবর, সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, চিত্র নদীর পাড়ে মাঠের পশ্চিম পাশে মসজিদ, আর উত্তর পাশে রয়েছে মন্দিরটি।


মন্দিরটি উত্তর-দক্ষিণমুখী। মন্দির থেকে একটু সামনে এগোলেই রয়েছে শরীফ আব্দুল হাকিম ও নড়াইল এক্সপ্রেস হাসপাতাল।


মহিষখোলা গ্রামের ছানোয়ার রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আমরা হিন্দু-মুসলিম একই পরিবারের সদস্য হিসেবে বসবাস করে আসছি। এলাকায় কখনও ধর্ম নিয়ে কোনো বিরোধ হয়নি। তবে এলাকার মানুষ মনে প্রাণে অসাম্প্রদায়িক। প্রত্যেকেই নিজ নিজ ধর্ম পালনের পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল।


মহিষখোলা সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি সুমন দাস বলেন, এই গ্রামে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি হলেও কখনোই আমাদের পূজা-অর্চনা করতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। আমরা সবাই মিলেমিশে এখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি।


মহিষখোলা পুরাতন সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয় জামে মসজিদ কমিটির সদস্য সাগর হোসেন খান বলেন, মসজিদ কমিটি মন্দির কমিটিকে নামাজের সময়সূচি দিয়েছে। নামাজের সময় মন্দির কমিটি তাদের কাজকর্ম সীমিত রাখেন। নামাজ শেষ হলে স্বাভাবিক নিয়মেই পূজা-অর্চনার কাজ চলে। এ নিয়ে কোনো সংঘাত হয়নি। আমরা সবাই মিলে মিলে একসঙ্গেই বসবাস করে থাকতে চাই।


বিবার্তা/শরিফুল/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com