পিরোজপুরে ৪৮৬ মন্দিরে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:০০
পিরোজপুরে ৪৮৬ মন্দিরে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পিরোজপুরে ৪৮৬টি মন্দিরে এবার দুর্গাপূজার অনুষ্ঠিত হবে। আর জেলার সবচেয়ে বেশি দুর্গাপূজা হচ্ছে নাজিরপুরে। বরিশাল বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বড় পূজা অনুষ্ঠিত হয় জেলার মঠবড়িয়া উপজেলার রাজ মন্দিরে। ওই মণ্ডপে ৪০১টি প্রতিমা স্থাপনসহ উন্নত মানের আলোকসজ্জার মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়।


এ সব পূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
জানা গেছে, আগামী শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের দুর্গাপূজা। আর ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে দুর্গাপূজার উৎসব শেষ হবে।


সরেজমিনের বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরির কারিগররা তাদের হাতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রায় অধিকাংশ স্থানেই প্রতিমা তৈরির মাটির কাজ শেষ করে এখন চলছে রং এর কাজ।


কারিগররা জানান, প্রতিমা তৈরিতে কাঠ,বাঁশ,সুতা, খড়, মাটিসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়। তবে রঙের মাধ্যমে প্রতিমার উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য ফুটে উঠে।


জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি মাস্টার সুখরঞ্জন বেপারী জানান, জেলার ৭টি উপজেলায় ৪৮৬টি মন্দিরে দুর্গাপূজার পালনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনকের মাধ্যমে আমাদের কাছে যে তালিকা এসেছে তাতে সরকারি ভাবে ৪৮২ টি মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের কাছে ৪৮৬টি মন্দিরে পূজা উদ্‌যাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।


তিনি জানান, জেলার নাজিরপুরে ১৩৬টি, নেছরাবাদে ১০১টি, মঠবাড়িয়ায় ৮৪টি, সদরে ৫৮টি, ভান্ডারিয়ায় ৫৮টি, কাউখালীতে ২৭টি ও ইন্দুরকানীতে ২৩টি মন্দিরে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৩৮টিতে জগদ্ধাত্রী ও ৬টিতে বাসন্তি পূজা অনুষ্ঠিত হবে।


পিরোজপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মাদ জাহেদুর রহমান জানান, প্রতিটি মন্দিরে সরকারি অনুদান হিসাবে ৫ শত কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে। এসব চালের সরকারি মূল্য হিসাবে প্রতি মন্দিরে সাড়ে ২২হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে।


সরকারি তালিকা অনুযায়ী জেলার ৪৮২টি মন্দিরে এ সাহায্য করা হবে। এছাড়া পিরোজপুর-১ আসনের এমপি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জেলার নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানীতে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়।


জেলার নাজিরপুরে সবচেয়ে বেশি পূজা উদ্‌যাপন হবার তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস।


তিনি জানান, নাজিরপুর উপজেলার ১৩৬টি মন্দিরে পূজা উদ্‌যাপন হবে। গতকাল মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি মন্দিরে ২ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।


জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ শফিউর রহমান জানান, জেলার প্রতিটি মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সহ আনসার সদস্যরা থাকবেন। এছাড়া সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পূজা মণ্ডপগুলো পরিদর্শন করে নিরাপত্তার খোঁজ নিচ্ছেন।


জেলার নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডাক্তার সঞ্জীব দাশ বলেন, আমি নিজে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রতিটি মন্দিরের সকল সমস্যার তদারকির জন্য প্রতি ইউনিয়নের একজন করে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।


থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, উপজেলার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করা হয়েছে। মন্দিরগুলোর কমিটিসহ উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাথে কথা বলে যে কোন ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চিত করেত পুলিশ কাজ করছে।


জেলার নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহাবুবুল্লাহ মজুমদার জানান, উপজেলার কয়েকটি মন্দির ইতিমধ্যে পরিদর্শন করে সেখানের খোঁজ-খবর নেয়া হয়েছে।


বিবার্তা/তাওহীদুল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com