স্বামীর আপন বোনের ছেলে (ভাগিনা) কর্তৃক বিধবা মামীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগর ইউনিয়নের নাগেরগাতি গ্রামে।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায় ভুক্তভোগীর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বিগত চার বছর আগে। এরপর থেকে ভুক্তভোগী দুই কন্যাসহ নিজ বাড়িতেই বসবাস করছিলেন। অবশ্য এ সময়ের মধ্যে দুই কন্যাকেই বিবাহ দিতে পেরেছেন তিনি। তারা উভয়েই স্বামী সংসার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী একাই নিজ বাড়িতে অবস্থান করতেন।

আত্মীয়তার সুবাদে প্রতিবেশী আঃ মজিদ এর পুত্র রোকন উদ্দিন রুকু (৩৫) মাঝে মধ্যেই ভুক্তভোগীর বাড়িতে আসতো। রুকু’র ২কন্যা, ২পুত্র থাকাবস্থায় সে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়।

ঘটনার দিন অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং শনিবার রাত দেড়টার দিকে রোকন উদ্দিন ভুক্তভোগীর বাড়িতে এসে ডাকা ডাকি করে তার আড়াই বছরের ছোট ছেলের অসুস্থতার কথা বলে ভুক্তভোগীকে তার বাড়িতে যেতে অনুরোধ করে। এসময় রুকুর অনুরোধে ভুক্তভোগী ঘরে প্রবেশ করা মাত্রই দরজা আটকিয়ে ধাড়ালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে রুকু।

এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন অনেকেই। মীমাংসা না হওয়ায় ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলে গত ১ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখ অভিযোগটি আমলে নেন পুলিশ। মামলা নং-০১ তারিখ-১/১০/২০২৩ ইং, ধারা-৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)।

ভুক্তভোগী সংবাদকর্মীদের সাথে অভিযোগ করে বলেন বিবাদী রুকু এলাকাতেই ঘোরাফেরা করছে পুলিশ প্রশাসনের আন্তরিকতা বা সদিচ্ছা থাকলে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তার কাছে খবর পাঠায়, সে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এসময় আসামি গ্রেফতারের জন্য জোর দাবি জানান ভুক্তভোগী।

এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক সরকার আলম বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি জেনে আমি ভুক্তভোগীকে মামলার পরামর্শ দিয়েছি। যাতে অভিযুক্ত আসামিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায় এবং আর যেন এরকম ঘটনা না ঘটে।

পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোঃ আঃ হান্নান বলেন আসামি গ্রেফতারের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

দুর্গাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ নুরুল আলম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আসামি পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারের অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বিবার্তা/রফিক/এমজে