লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৪৯
লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আ.লীগের সহসভাপতি মো. উমর ফারুককে গুলি করে হত্যা মামলায় ৯ আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।


১২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।


অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় আদালত চার জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। রায়ের সময় কোন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল না, তারা পলাতক রয়েছে।


দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. আবু তাহরের ছেলে মো. মিরাজ (৩৩), একই উপজেলার কোয়ারিয়া গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে আলাউদ্দিন (২৮) ওরফে আলো, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মো. রহমত উল্যার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিলন ওরফে মিলা (৪০), আবু বক্কর ছিদ্দিকির ছেলে মো. তুহিন (৩৮), মৃত বশির উল্যার ছেলে কাউছার ওরফে ছোট কাউছার (৩০), আবু তাহেরের ছেলে আউয়াল (৩৪), আমানী লক্ষ্মীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মো. জাকের (৪০) ও ধন্যপুর গ্রামের রিয়াজ ওরফে চিতা (২৮)।


খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, সুমন (৩৩), সুজন (৩৩), মিলন (৩৩) সজিব। এ মামলার এজাহারভুক্ত আরেক আসামি মো. রাজু পূর্বেই মারা যান।


দণ্ডপ্রাপ্ত সকলে চন্দ্রগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং র‍্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জিসান বাহিনীর সদস্য ও যুবদলের নেতাকর্মী।


জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আদালত সূত্র জানায়, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা উমর ফারুক এলাকায় সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। এ নিয়ে চন্দ্রগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়। ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর জিসান বাহিনীর সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। এ যাত্রায় তিনি বেঁচে যান। এরই মধ্যে সন্ত্রাসী জিসান র‍্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।


২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট চন্দ্রগঞ্জ থানার নবনির্বাচিত ভবন উদ্বোধনের দিন উমর ফারুক সন্ত্রাস বিরোধী বক্তব্য দেন। এতে জিসান বাহিনীর সদস্যরা তাকে টার্গেট করে। ১ সেপ্টেম্বর সকালে ওমর ফারুক বাড়ির পাশে মোস্তফার দোকানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর ভিকটিম উমর ফারুকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।


২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম হক্কানী হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন। এতে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।


আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৯ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪ জনকে বেকসুর খালাস দেন৷


বিবার্তা/সুমন/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com