কুড়িগ্রামে দু’দিনে শতাধিক বিঘা জমি ও বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:১০
কুড়িগ্রামে দু’দিনে শতাধিক বিঘা জমি ও বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ধরলা ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙা ইউনিয়ন ও উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে নদীর তীব্র ভাঙনে ১০টি বসতভিটা সহ শতাধিক বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।


হুমকিতে রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভূমি অফিস সহ বসতি ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বসতভিটা হারিয়ে দিশেহারা পড়েছে মানুষজন।


সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের খুদিরকুটি ব্যাপারিপাড়া ও মোগলবাসা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর সিতাইঝাড় গ্রামে ধরলার তীব্র ভাঙনে গত দুদিনে শত শত বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ওই এলাকার আব্দুস সাত্তার, জোবেদ আলী, আ. করিম বাদশা, লুৎফর মুন্সি, দেওয়ান আলী, মোহাম্মদ আলী ও রোস্তমের বসতভিটা ও আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে আছে আরো শতাধিক পরিবার ও স্থাপনা।


সিতাই ঝাড় গ্রামের ভিটেমাটি হারা জোবেদ আলী বলেন, গত রাতে আমার বাড়িঘর নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে। হঠাৎ ভাঙন শুরু হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি। নিজের জমি জমা না থাকায় কোথায় ঠাঁই নেব জানি না। আপাতত পরিবার পরিজন নিয়ে আত্মীয়র বাড়িতে উঠেছি। আল্লাহ জানে কপালে কি আছে।


ভাঙনের শিকার আরেক দিনমজুর সামেদ আলী বলেন, চারটা ঘরের চাল সরে নিয়া স্কুল মাঠত থুচি। ভিটার অর্ধেক গেইছে। যে স্রোত পড়ছে নগদ বাকিকোনাও যায়! একজনের কাছত ঘর তুলি থাকার জন্য জমি চাছি। না দিলে কোটেই থাকমো সে উপায় নাই।


বেগম গঞ্জ ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ভাঙন চলছে। ৪নং ওয়ার্ডের স্কুল সংলগ্ন ২৯টি পরিবার বসতভিটা হারিয়েছে। ভাঙনের তীব্রতা বেড়েই চলছে। কিন্তু পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ২ হাজার বস্তা জিও ব্যাগ ফেলার অনুমতি দিয়েছে আগামী মঙ্গলবার থেকে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাজারহাট ঘড়িয়াল ডাঙা ইউনিয়ন, উলিপুর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার মোগলাবাসা ধরলার বাম তীরে প্রায় ৩ কিলোমিটার অংশ জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতো বড় অংশে জরুরি প্রতিরক্ষা কাজ করার বরাদ্দ নেই। আমরা তাৎক্ষণিক ২-৩ হাজার জিও ব্যাগ সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি। স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্থাপনাগুলো রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।


বিবার্তা/বিপ্লব/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com