সদ্য প্রয়াত নাটোর ৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে শূন্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ অক্টোবর।

বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে তার জ্যৈষ্ঠ কন্যা বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তিকে এই আসনের এমপি মনোনয়ন দানের দাবি তুলেছেন চলনবিল অধ্যুষিত (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও জনসাধারণ।

বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী যুব মহিলা লীগের রাজনীতির সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নযাত্রায় শামিল হয়ে নারীর অধিকারসহ সকল স্তরের জনগণের কল্যাণ কাজে প্রস্তুত রয়েছেন মুক্তি। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এবং তাঁর বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো করার জন্যই তিনি উপনির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে।

মুক্তি আশা প্রকাশ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দান করেন তাহলে নির্বাচিত হয়েই ইনশাল্লাহ বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার ইচ্ছা রয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন মাষ্টার বলেন, মুক্তি ছাত্রজীবন থেকেই চলনবিলের নিপীড়িত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। দলের দুঃসময়ে সর্বদা পাশে থেকে কাজ করছেন। এসব কারণেই তাকে উপনির্বাচনে নাটোর ৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেবার অনুরোধ করছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সবখানেই রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন মুক্তি। শিক্ষাজীবনে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্ম বিষয়ে অনার্সসহ এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি লাভ করেন। রাজনীতির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি ঢাকা জজকোর্টে ওকালতি পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন।

মুক্তির সহযোদ্ধা রুবিনা মিরা জানান, বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের অরাজকতার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বর্বরোচিত পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়ে বেশ কয়েকবার জেলও খাটতে হয়েছে মুক্তিকে। সারাদেশ চষে বেড়ানো এই নেত্রীর তারুণ্যদীপ্ত রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সব সময়। মূলত এজন্যই তিনি বারবার শত্রুপক্ষের নির্মমতার শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রাণনাশের হুমকির তালিকায় থাকা উত্তরবঙ্গের নেত্রীবৃন্দের মধ্যে তিনি অন্যতম ছিলেন।

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, মুক্তি কাজের মাধ্যমেই প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের নেত্রী নির্বাচিত হয়ে দেশ জুড়ে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজনীতির পাশাপশি চলনবিলের মানুষের কল্যাণে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘কল্লোল ফাউন্ডেশন’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। চলনবিলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষসহ পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করছেন বছরব্যাপী। যার কারণে জয়বাংলা উইয়ুথ এওয়ার্ডও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া স্বাধীনতার স্বপক্ষের ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নিয়ে স্বাধীন বাংলার অবহেলিত মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘গৌরব '৭১’ এর সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তিনি।

গুরুদাসপুর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা কলেজের প্রভাষক নাসরিন সুলতানা রুমা জানান, ‘চলনবিলের যুব নেতৃত্বের একজন সাহসী নেত্রী মুক্তি। সে দলের প্রয়োজনে দেশজুড়ে নির্ভীকভাবে কাজ করে চলেছে। তার মতো সাহসী-পরিশ্রমী কর্মীকে মনোনয়ন দিলে নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ একতাবদ্ধ হয়ে এই আসনটি ধরে রাখবে বলে তিনি মনে করেন।’

বিবার্তা/এসবি/এমজে