
বন্যার পানি কমতে শুরু করায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ও গোয়ালেরচর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনে বিলীন হচ্ছে মানুষের বসতভিটা ও ফসলি জমি। ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ দাবি এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
জানা গেছে, জামালপুরের বন্যার পানি কমতে শুরু করায় জেলার ইসলামপুর উপজেলা পলবান্ধা নতুন পাড়া, গায়েন পাড়া ও চরচারিয়া এলাকা ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে গ্রাম। গত কয়েকদিন ধরে বন্যার পানি হ্রাস-বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
অব্যাহত ভাঙনে নতুনপাড়ার মকুল, রফিকুল, লাল মিয়া, রবিজল খোকনসহ ১০টি পরিবারে বসতভিটা নদের গর্ভে চলে গেছে। ভাঙনে দিশেহারা এসব পরিবার কেউ খোলা আকাশের নিচে আবার কেউ অন্যত্র ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে নতুন পাড়া মসজিদসহ ২শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি।
অন্যদিকে একই উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনে বিলীন হচ্ছে মানুষের বসতভিটা ও ফসলি জমি। মোহাম্মদপুর বালুর চর ৩কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে ভাঙন। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদসহ মানুষের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। ভাঙন রোধে বাঁশ পাইলিং ও বালুর বস্তা দিলেও ভাঙন রোধ হচ্ছে না। ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ দাবি এলাকাবাসীর। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মোহাম্মদপুর বালুর চর ৩ কিলোমিটার এলাকা ভাঙন চলছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড মাত্র ২শত গজ এলাকায় বালুর বস্তা ফেলছে। বস্তায় নিম্নমানের বিট বালু দিয়ে কাজ করার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন যে বালু দিয়ে বস্তা ভরা রিজেক্ট করেছিল। রাতারাতি সেই বালু দিয়ে ১৮শ বস্তা ভরে জরুরি ভাঙন ঠেকানোর কাজ করা হয়েছে।
নিম্নমানের বালু দিয়ে বস্তা ভরার ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার সাঞ্জিদ খান জানান, বালুর এফএম ঠিক রয়েছে। যে মানের বালু দিয়ে ঠিকাদার বস্তা ভরবে সেই মাপ অনুযায়ী বিল দেওয়া হয়।
ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ও গোয়ালেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা ও পলবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান কমল।
এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন রোধে স্থানীয় পদক্ষেপ নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ঊর্ধ্বতন মহলের সাথে কথা বলা হবে।
এ ব্যাপারে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্র ভাঙন ঠেকাতে ১৬টি স্পটে জরুরি ভিত্তিতে বালির বস্তা ফেলার পদক্ষেপ নেয়ার হয়েছে। বস্তা ফেলার কাজ চলমান রয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকা স্থায়ী বাঁধের বিষয় তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠাবেন বলে জানান।
বিবার্তা/ওসমান/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]