নোয়াখালীতে অতিরিক্ত দামে ডাব, দিশেহারা রোগী ও সাধারণ মানুষ
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:২৩
নোয়াখালীতে অতিরিক্ত দামে ডাব, দিশেহারা রোগী ও সাধারণ মানুষ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলা ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বর, চিকিৎসার জন্য সেবা দিতে প্রায়ই হিমশিম খাচ্ছে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।


নোয়াখালীতে সব উপজেলা মিলে এখন পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছে প্রায় ৫০ জন। অন্যদিকে বেগমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি আছে ১৫ জন। একদিকে ডেঙ্গু জ্বরকে কেন্দ্র করে যেমন বাড়ছে আতঙ্ক অন্যদিকে এই রোগকে কেন্দ্র করে দিন দিন বাড়ছে ডাবের চাহিদা।


নোয়াখালী সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে প্রতি পিস ডাব বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। কোন কোন স্থানে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে এই ডাব। জানতে চাইলে ডাব ব্যবসায়ীরা বলছে কৃত্রিম কোন সংকেট নেই ডাবের, নোয়াখালী সুবর্ণচর ও হাতিয়াতে প্রচুর পরিমানে ডাব আছে। কুমিল্লা ও চাঁদপুরের কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে ডাবের মূল্য অতিরিক্ত আকারে তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে যেখানে কয়েকটা গাছ এক সাথে কন্ট্রাক্ট হিসাবে কিনা যেন, এখন তা তারা কিনতে হচ্ছে পিস হিসাবে। যার কারণে আমাদের লাভ কমে গেছে অন্যদিকে খরচও অনেক বেড়ে গেছে।


সংশ্লিষ্টরা বলছে, বর্ষার শেষের মৌসুমটা ডাবের চাহিদাটা অনেক বেশি। এর ওপর ডেঙ্গু রোগ বাড়ায় চাহিদা বেড়েছে আরো কয়েক গুণ। পাশাপাশি গরম বেশি থাকায় চাহিদা আরো বেড়েছে। ফলে দামও বাড়ছে ডাবের।


কথা হয় মহিন নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি জানান, ডাবের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি পথ্য হলেও দিন দিন এর দাম বাড়ছে। ফলে সবার জন্যই ডাব খাওয়া এখন বিলাসিতা হয়ে যাচ্ছে।
বেগমগঞ্জ চৌমুহনী রাবেয়া হাসপাতালে মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছিলেন নাজমা খাতুন। ডাক্তার ডাব খাওয়ার পরামর্শ দিলে অতিরিক্ত দাম হওয়া সত্ত্বেও ডাব কিনতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।


রায়হান নামে আরেক ক্রেতা জানান, ডাব বাজারে সিন্ডিকেট কাজ করছে। না হলে এক পিস ডাবের দাম কখনোই ১৬০ টাকা হতে পারে না। অন্যান্য পণ্যের মতো ডাবের বাজারেও মনিটরিং করা প্রয়োজন। এতে গরিব রোগীরা সুপেয় ডাবের পানি পান করতে পারবে।


সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুর অর রশিদ জানায়, সুবর্ণচরে প্রায় ৫০ হেক্টরের বেশি জমিতে নারকেলের গাছ উৎপাদন হচ্ছে। সেই হিসাবে প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ১১০ থেকে ১২০ নারকেল রয়েছে। যা দ্বারা জেলায় উপজেলা ডাবের দাম নিয়ন্ত্রন রাখা সম্ভব।


বিবার্তা/সবুজ/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com