বিমানবন্দরে কাস্টমসের ভল্ট থেকে ‘৫৫ কেজি সোনা উধাও’
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:০৬
বিমানবন্দরে কাস্টমসের ভল্ট থেকে ‘৫৫ কেজি সোনা উধাও’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত ঢাকা কাস্টম হাউসের গুদাম থেকে প্রায় ৫৫ কেজি (৪৭১৭ ভরি) সোনার হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ ঢাকা কাস্টমসের গুদাম থেকে কীভাবে এত সোনা উধাও হলো সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা কেউ মুখ খোলেননি। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা।


কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে ২৪ ঘণ্টায় পালাক্রমে চারটি শিফট কাজ করে। সাধারণত এই শিফটগুলোতে বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করা সোনার বার, অলংকারসহ মূল্যবান জিনিস এক গুদামেই রাখা হতো এতো দিন। তবে স্বচ্ছতা আনার জন্য ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার একেএম নুরুল হুদা আজাদ শিফট ভিত্তিক জব্দ হওয়া সোনা আলাদা আলাদা লকারে রাখার নির্দেশনা দেন। তিনি নির্দেশ দেন, যে শিফট জব্দ করবে তাদের জব্দ করা সোনা তাদের লকারে থাকবে। গুদামে রক্ষিত সোনার হিসাব মেলাতে গিয়েই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।


কাস্টমস সূত্রে আরো জানা গেছে, স্বর্ণের গুদাম যেখানে, সেই জায়গাটি সম্পূর্ণ সংরক্ষিত এলাকা। এছাড়া পুরো এলাকাটি সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে। বিমানবন্দরের ভেতরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়া পণ্য রাখার স্থানের পাশেই কাস্টম হাউসের গুদামটির অবস্থান। কাস্টম হাউসের গুদামটিতে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত ঢাকা কাস্টম হাউস, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোর জব্দকৃত মালামালগুলো এখানে রাখা হয়।


জানা গেছে, সোনার অলংকার ও সোনার বার মিলিয়ে প্রায় ৫৫ কেজি সোনা কাস্টমের গুদামের একটি আলমারিতে বাক্সের মধ্যে সংরক্ষিত ছিল। সেই বাক্সটিই চুরি হয়ে গেছে। গুদামের আলমারি ভেঙে চুরি করা হয়েছে বাক্সটি। কীভাবে এই সোনা গায়েব হয়েছে, তা জানতেই এখন বিমানবন্দরে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।


বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে ২৪ ঘণ্টায় পালাক্রমে চারটি শিফট কাজ করে। এই শিফটগুলোতে জব্দ হওয়া সোনা এক গুদামেই রাখা হতো এতদিন। তবে স্বচ্ছতার স্বার্থে ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদা আজাদ শিফট ভিত্তিক জব্দ হওয়া সোনা আলাদা আলাদা লকারে রাখার নির্দেশনা দেন। তিনি নির্দেশ দেন, যে শিফট জব্দ করবে তাদের জব্দ করা সোনা তাদের লকারে থাকবে।


প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদা আজাদ খবর পান প্রায় ৫৫ কেজি সোনা গুদামে নেই। এরপর একটি কমিটি করে দেয়া হয় গুদামের সব সোনা গণনা করার জন্য। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সত্যতা মেলে।


তবে রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার একেএম নুরুল হুদা আজাদ বলেছেন, এ ঘটনা আমার জন্য বিব্রতকর। চূড়ান্ত ভাবে নিশ্চিত হতে আমরা ইনভেন্টরি করছি। কাস্টমস কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন, তদন্তের পর নিশ্চিত হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। থানায় মামলা করা হবে।


ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে একটি দল কাস্টম হাউসে গিয়েছে। ঘটনা সত্য। তবে, এখনো দালিলিক অভিযোগপত্র হাতে আসেনি। তাই কী পরিমাণ সোনা খোয়া গেছে, সেটি বলা সম্ভব নয়। অভিযোগপত্র হাতে এলে বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে, খোয়া যাওয়া সোনার পরিমাণ কত সেটি এখনই জানাতে পারেননি তিনি।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com