কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের গড়ুরা মিস্ত্রিপাড়ার পল্লী চিকিৎসক জুয়েল রানার বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা দিয়ে এক রোগীর কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নুর বানু বর্তমানে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
২০ আগস্ট, রবিবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে নুর বানু খাতুনের আত্মীয়রা পল্লী চিকিৎসক জুয়েলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী গড়ুরা মিস্ত্রি পাড়া গ্রামের নুর বানু খাতুন বলেন, গত ১৯ আগস্ট দুপুরে মাথাভাঙা নদীতে গোসল করতে গিয়ে আমার ডান কানের ভিতরে পানি ঢুকে যায়। পরে পল্লী চিকিৎসক জুয়েল রানার কাছে গেলে সে কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার কানের ভিতরে লোহা জাতীয় একটি কি ঢুকিয়ে দেয়, সাথে সাথে আমার কানের ভেতর থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে। তার পরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
ভুক্তভোগীর ছেলে হাবুল হোসেন বলেন, জুয়েল রানা কোনো ডাক্তার না। আমার মা একজন বয়স্ক মানুষ। সে না বুঝে তার কাছে গেছে। কিন্তু সে আমার মায়ের কানের ভিতরের পর্দাটা নষ্ট করে দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে বিচার চাই।
অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক জুয়েল রানার ফার্মেসিতে গেলে তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জুয়েল রানা বলেন, তার ডাক্তারি করার মতো কোনো কাগজ পত্র নাই (বৈধ কাগজপত্র নাই)। গ্রামের মানুষ আসে তাই চিকিৎসা দিই। তবে নুর বানুর ব্যাপারটি তিনি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে দাবি করেন ড্রাগ লাইসেন্স আছে তার।
এদিকে জুয়েল রানার এ ধরনের কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী বেশ ক্ষুব্ধ। এমনকি জুয়েল রানার আত্মীয়-স্বজনেরাই জানেন না তার লেখাপড়া যোগ্যতা কতটুকু!
বিবার্তা/তুহিন/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]