
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যে বেশ কিছু টর্নেডো আঘাত হেনেছে। এতে চার মাসের একটি শিশুসহ অন্তত পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন কয়েক ডজন। শুক্রবার শুরু হওয়া পৃথক ঝড়ের কারণে কয়েক হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। টর্নেডোর তাণ্ডবে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যেই চার ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সেখানকার ১২টি কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। অপর ব্যক্তি আইওয়া অঙ্গরাজ্যে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
এএফপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টেক্সাস থেকে মিসৌরি পর্যন্ত বয়ে যাওয়া ঝড়ের সময় কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ১৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে।
ওকলাহোমার সালফার শহরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষের বসবাস। প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘরের ছাদ উড়ে গেছে, অনেক গাছ ঘরের ওপর পড়েছে। অনেক গাড়ি উল্টো গেছে।
ওকলাহোমার গভর্নর কেভিন স্টিট বলেছেন, টর্নেডো যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা আপনি বিশ্বাস করতে পারবে না। সেখানের সব কিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্টিট বলেছেন, এ ঘটনায় প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এমন কয়েক জন রয়েছেন যারা একটি বারে ছিলেন।
হিউজেস কাউন্টির জরুরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইক ডকরে বলেন, মৃতদের মধ্যে একটি চারমাস বয়সী শিশুও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, গত শনিবার আঘাত হানা টর্নেডোয় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১৮ কিলোমিটারের বেশি।
ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, টর্নোডোতে প্রায় ১০০ মানুষ আহত হয়েছেন। এখনো বিশ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন রয়েছেন। ঝড়ে হোল্ডেনভিল এবং মেরিয়েটা শহরগুলিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্টিট বৈরী আবহাওয়ার কারণে ১২ কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। ওকলাহোমার গর্ভনরের সঙ্গে কথা বলেছেন বাইডেন। সেখানের পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]