ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ির গেট-দরজা ভেঙে ঢুকে পরিবারের লোকদের হাত-পা বেঁধে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল। এসময় তাদের হামলায় নারী-পুরুষসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
৮ আগস্ট, মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন বাড়ির মালিক সাইদুল ইসলাম (৭০), তার স্ত্রী জ্যোৎস্না চৌধুরী (৬০), ছেলে মাইনুদ্দিন ইসলাম (২৬) ও মেয়ে আয়েশা আক্তার মুক্তা (২৮)।
এদের মধ্যে আয়েশা আক্তার মুক্তার দুই হাতের আঙুল ভেঙে দিয়েছে ডাকাতদল। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাইদুল ইসলামের মেয়ে সাদেকা ইসলাম রত্না জানান, তার দুই ভাই ও এক বোন প্রবাসে থাকেন। তার এক বোন সম্প্রতি সুইডেন থেকে দেশে বেড়াতে আসেন। সোমবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় তিনি আবার চলে যান। আজ ভোরে আয়েশা আক্তার মুক্তা ঘরের বাইরে টয়লেটে যান। এসময় ২৫-৩০ জনের একটি ডাকাতদল তাদের বাড়ি ঘিরে ফেলেন। এদের মধ্যে ১০-১২ জন বাড়ির কলাপসিবল গেট ও দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। ঘরে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে ডাকাতদল।
এসময় আয়েশা আক্তার টয়লেট থেকে বের হয়ে ঘরে ঢুকলে তার মাথায় আঘাত করে মেঝেতে ফেলে দিয়ে মারধর করা হয়। এতে তার দুই হাতের আঙুল ভেঙে যায়। পরে ডাকাতরা ঘরে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় সাদেকা ইসলামের মায়ের কানের লতি ছিঁড়ে দুল দিয়ে যায় ডাকাতদল।
আহত আয়েশা আক্তার মুক্তা বলেন, ‘আমি টয়লেট থেকে এসে দেখি সাতজন লোক আমার ভাইকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। আমার দুই শিশুসন্তানের গলায় ছুরি ধরে রেখেছিল। তাদের সবার মুখে মাস্ক পরা ছিল। তারা আমার মাথায় আঘাত করে। এরপর আমি লুটিয়ে পড়ি। দুই হাতে কখন আঘাত পেলাম বুঝতে পারিনি। জ্ঞান ফেরার পর দেখেছি দুই হাতে ব্যান্ডেজ।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ডাকাতদলকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিবার্তা/নিয়ামুল/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]