‘রিলিভ নয়, কাজের জন্য নদীবন্দর চাই’, ‘ফেরি চলাচল করতে আর কতদিন?’, ‘ব্রহ্মপুত্রের নাব্যতা ফিরিয়ে আনুন, বন্যার হাত থেকে আমাদের বাঁচান’, ‘চিলমারী নদীবন্দর চালু করুন এলাকার দারিদ্রতা কমিয়ে আনুন’, -ব্যানার-প্লেকার্ড হাতে এমন সব দাবি জানিয়ে ঘণ্টাব্যাপী দাঁড়িয়ে শতাধিক মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ঐতিহ্যবাহী চিলমারী নদী বন্দরের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন ও বন্দর এলাকায় ফেরি ঘাট নির্ধারণ এবং দ্রুত ফেরি চলাচলের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয়রা। দাবি বাস্তবায়ন না করলে আন্দোলন আরও বেগবান করারও কথা জানিয়েছেন তারা।
১৭ জুন, শনিবার সকালে চিলমারী নদী বন্দর ঘাটে স্থানীয়দের আয়োজনে শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দীর্ঘসময় অতিবাহিত হলেও নদী বন্দরের কাজ শুরু করেনি সংশ্লিষ্টরা। দ্রুত নদী বন্দরের কাজ শুরুর দাবিতে বক্তারা বলেন চিলমারীর মানুষ দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে বেঁচে আছেন। প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেননি তারা। বন্দর চালু হলে এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। দ্রুত বন্দর চালু না হলে আরও কঠোর আন্দোলন হাতে নেবেন স্থানীয়রা বলে জানান।
বক্তারা আরো বলেন, চিলমারী নদীবন্দর থেকেই ফেরি চলাচল করতে হবে। চিলমারীর মানুষ এখনো ফুঁসে উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। নদীবন্দর থেকেই খুব দ্রুত ফেরি চালুর দাবি তাদের।
ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহীন, ২য় বঙ্গবন্ধু সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম গোলাম হায়দার, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাইল করিম খুশু, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আকছেদ বেলাল, জিয়াউর রহমান জিয়া, মাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
বিবার্তা/রাফি/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]