লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি, ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ১৮:০৮
লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি, ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর শহরের আর. কে. শিল্পালয়ের মালিক অপু কর্মকারকে কুপিয়ে দোকানের স্বর্ণ লুট করেছে ডাকাতদল। এর প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধারের দাবি জানিয়ে দোকান বন্ধ রেখে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা।


১২ জুন, সোমবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সব স্বর্ণের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ব্যবসায়ীরা এবং ডাকাতির ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল ৩টায় লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন পালন করেছে ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।


বাজুস লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সদস্য ও স্বর্ণালয় নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক অজয় রায় বলেন, ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুইজন ব্যতীত আর কোন ডাকাতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাই আমরা ডাকাতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে এবং লুণ্ঠিত স্বর্ণালকার উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে জেলার সকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তায় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।


বাজুস জেলা শাখার সভাপতি হরিহর পাল বিবার্তাকে বলেন, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং জেলার সকল বাজার পর্যায়ে প্রায় ৮ শতাধিক স্বর্ণের দোকান রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে সকল দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। বাজুসের উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। দোকান মালিক এবং কর্মচারীরা মানববন্ধনে অংশ নেবে।


তিনি বলেন, পুলিশ যাতে দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়, আমরা সে দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে লুণ্ঠিত মালামালগুলো যাতে উদ্ধার করা হয়। প্রশাসনের কাছে আমাদের স্বর্ণকার ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।


উল্লেখ্য, বুধবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাত থেকে আটজনের একটি ডাকাতদল ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে ‘আর. কে. শিল্পালয়’ নামে ওই সোনার দোকানে হানা দেয়। ডাকাতদল এসময় দোকানের মালিক অপু কর্মকারকে কুপিয়ে জখম করে এবং সব সোনার গহনা লুট করে নিয়ে যায়। অপুকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশ কিছু ককটেল উদ্ধার করে।


এদিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের ইটেরপুল এলাকায় ডাকাতদলের পিকআপ ভ্যানের চাপায় সফি উল্যা (৬০) নামে এক পথচারী নিহত হন। এতে আহত হন ইসমাঈল হোসেন নামে আরও এক পথচারী।


সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ডাকাতদলের সদস্য সবুজ ও মনসুর ওরফে রনিকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে সবুজের বাড়ি বরগুনা জেলায় এবং মনসুরের বাড়ি নরসিংদীতে। তাদের কাছ থেকে তিন ভরি চার রতি আট পয়েন্ট স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।


দোকানের মালিকের দাবি, ডাকাতদল আনুমানিক ২০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়েছে।


এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় সদর থানায় তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি ডাকাতির, আরেকটি বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি সড়ক দুর্ঘটনার। এসব মামলায় আটক দুজনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়।


আটক দুজনকে শুক্রবার (৯ জুন) গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার এখনো উদ্ধার হয়নি।


বিবার্তা/সুমন/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com