জরাজীর্ণ আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩, ২০:৩৭
জরাজীর্ণ আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জরাজীর্ণ ভবনের একটি ছোট্ট খুপরি কক্ষে চলছে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের কার্যক্রম। বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকাসহ নানা সমস্যা বিরাজ করছে ইমিগ্রেশনজুড়ে। এতে ভারত-বাংলাদেশে পারাপার করা যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।


নানা সমস্যায় ধুঁকতে থাকা এই ইমিগ্রেশনের অব্যবস্থপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।


এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন ইমিগ্রেশনের কাজ শুরু হলেও বিএসএফের বাধায় তা বন্ধ ছিল। তবে সে সমস্যার সমাধানে কার্যকরী আলোচনা হয়েছে। অনুমতি পেলে দ্রুতই আধুনিক স্থলবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এতে যাত্রীদের এক ছাতার নিচে সকল পরিষেবা মিলবে।


১৯৯৪ সালে চালু হয় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গা ঘেঁষা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দের কার্যক্রম। সুবিধাজনক ভৌগলিক অবস্থান হওয়াই এ বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট থেকে অনেকেই যাতায়াতে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ব্যবহার করছেন। প্রতিদিন এখান দিয়ে এক হাজারেরও বেশী যাত্রী পারাপার হচ্ছে। যার অধিকাংশই চিকিৎসাজণিত কারণে ভারতে যাচ্ছেন।


গত ৬ মাসে ভ্রমণ কর থেকে চার কোটি ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়। এছাড়া সেখানে নেই কোন বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা। শীতাতপ ব্যবস্থা থাকলেও অত্যাধিক যাত্রীচাপে তা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে তীব্র দাবদাহে শত কষ্টের মাঝেই দুদেশের যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করতে হচ্ছে।


এছাড়া ইমিগ্রেশন ভবন থেকে ৩’শ মিটার দূরে গিয়ে সারতে হয় কাস্টমসের কাজ। যাত্রীরা বলেন, দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ ইমিগ্রেশনটির সার্বিক ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি যাত্রীদের পরিষেবা বাড়ানো প্রয়োজন।


সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন আধুনিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলেও ২০১৭ ও ২০১৯ সালে সীমান্ত আইনের অজুহাতে বিএসএফ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। তবে সম্প্রতি বিষয়টির সমাধান নিয়ে দুদেশের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে।


অপ্রতুল সুযোগ সুবিধার কথা স্বীকার করে জেলার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে দুদেশের যাত্রী সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে।


জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, আধুনিক স্থল বন্দর নির্মাণে ৩.৫৭ একর জায়গা অধিগ্রহণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। আধুনিক বন্দর নির্মিত হলে এক ছাতার নীচেই যাত্রীদের সকল পরিসেবা মিলবে।


নানা অব্যবস্থাপনায় ধুঁকতে থাকা দেশের পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এ স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগটির দ্রুত উন্নয়ন হবে, এমন প্রত্যাশা পারাপার করা দুদেশের যাাত্রীদের ।


বিবার্তা/ নিয়ামুল/ সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com