নাটোরের গুরুদাসপুরে শ্বশুর-পুত্রবধু দ্বন্দ্বের জেরে পাল্টাপাল্টি মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লিচু ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মামুদপুর মৌজায় মো. ইউসুব আলীর ক্রয় সূত্রে প্রাপ্ত ৪দাগে ৬বিঘা জমিতে ৬টি লিচু বাগান লিজ নেন ব্যবসায়ীরা। এতে শ্বশুর-পুত্রবধূর পাল্টাপাল্টি মামলার কারনে বাগানের প্রায় ১২ লাখের বেশি টাকার পাকা লিচু গাছ থেকে
ঝরে পরে নষ্ট হয়েছে।
মামলার নথি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইউসুব দারগার ওই সম্পত্তির ৬বিঘা জমি লিজ নেন একই এলাকার লিচু ব্যাবসায়ী মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে মনছের মন্ডল, মো. শুকুর প্রামানিকের
ছেলে আশরাফ আলী, মনজিল মন্ডলের ছেলে মো. আনোয়ার মন্ডল, মৃত্যু মকদম প্রামানিকের ছেলে কুরবান আলী প্রমানিকসহ ১৫ জন ব্যাবসায়ী। ৯লাখ ৭০হাজার ৫শটাকায় এক মৌসুমের জন্য ওই বাগানের লিচু কিনে নেন তারা। কিন্তু বাগানের লিচু ভাঙ্গার সময় দ্বন্দ্ব বাঁধে শ্বশুর ইউসুব আলী এবং পুত্রবধুর ফরিদা পারভীনের মধ্যে। দুই পক্ষ থেকেই ১৪৪ধারা জারি করা হয় ওই বাগানের উপর । এতে তাদের প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান ভুক্তভোগি লিচু ব্যাবসায়ীরা।
তারা আরো জানান, কাগজপত্র দেখে মূল মালিকের কাছ থেকেই বাগানগুলো লিজ নিয়েছিলাম । কিন্তু তার পুত্রবধূ ফরিদা পারভীন জমিটি তার বলে দাবি করে লিচু পারতে নিষেধ করেন। একদিকে তার শ্বশুর ইনজেংশানের কাগজ দেখান অপরদিকে ফরিদা পারভীন ১৪৪ধারা জারির কাগজ দেখিয়ে বাগানে যেতে নিষেধ করেন। গত ১৯ মে ফরিদা পারভীন সন্ত্রাসী পাঠিয়ে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার লিচু জোর করে পেরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ ব্যাপারে নাটোর আমলী আদালতে ২২ মে সোহেল আহমেদ মুন্না, সাকিনুর রহমান বাবু, মহাসিনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে
নাটোর আমলী আদালতে মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউসুব আলী জানান, ক্রয়সুত্রে ওই জমির মালিক তিনি। তাঁর ছেলে শফিকুল ইসলাম (ইউএনও) মারা যাবার পর আমার বউমার আংশ ভাগ করে দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছি।
নাতিদের অংশও রাখা আছে। তারপরেও তিনি কেন আমার সাথে বাধ সাধছে আমার বুঝে আসছে না। আমি মারা গেলে তো অংশিদারেরা সবাই মালিক হবে।
এ বিষয়ে পুত্রবধূ ফরিদা পারভীন মুঠোফোনে জানান, আমার অবুজ শিশুদের ফাঁকি দিয়ে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তার তিন মেয়ে সেলিনা পারভীন, ফারজানা ও শেফালী পারভীনের নামে রাজশাহীর দেড় কোটি টাকার ১৮টি ফ্ল্যাট এবং রংপুরের ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পত্তি রেজিট্রি করে দিয়েছেন। এবং ঢাকার ২টি ফ্ল্যাটসহ প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পদ থেকে তার এতিম ছেলে মেয়েকে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। আমার কাছে সকল ডকুমেন্ট আছে। উল্টো আমাকে এবং আমার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
আমি একজন চাকরিজীবি নারী। আমি কোন প্রকার ঝামেলায় জড়াতে চাই না। আর আমার কোন লোকবল নেই তাই বাগান থেকে লিচু পারার প্রশ্নই আসেনা।আমি একজন আইনের লোক তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই ওই বাগানে ১৪৪ধারা জারি করতে বাধ্য হয়েছি।
বিবার্তা/জনি/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]