সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার ও শান্তিগঞ্জে ‘হিটস্ট্রোকে’ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত সকলেই বুধবার মাঠে কাজ করছিলেন বলে জানা যায়। চিকিৎসকদের ধারণা হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হতে পারে।
এদিকে, সুনামগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জনের দাবি হিটস্ট্রোকে মৃত্যুজনিত কোন রেকর্ড তাদের কাছে নেই।
ছাতকের কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১০ মে) দুপুরে ছাতকের জাউয়া বাজার ইউনিয়নের সাদারাই গ্রামের মৃত শামসুল হকের পুত্র মঞ্জুর আহমদ (৪০) হাওরে ধান কাটা অবস্থায় প্রচন্ড গরমে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ছাতকের সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় গ্রামে তেরাব আলীর পুত্র হাসনাত মিয়া (৪৫) ক্ষেতে কাজ করে বাড়িতে এসে প্রচন্ড গরমে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, দোয়ারা বাজার উপজেলার পান্ডার গাঁও ইউনিয়নের জলসি গ্রামের তাজির উদ্দিন (৬৫) হাওরে কাজ করছিলেন। হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এছাড়া শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগা পাশা ইউনিয়নের দরগা পাশা গ্রামের নূর আলমের স্ত্রী রাফিয়া বেগম (৬০) ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালেই উনার মৃত্যু হয়।
কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আইনুর নাহার শান্তা বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পোস্টমর্টেম না হলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে না।
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজীব চক্রবর্তী ৪ জনের মৃত্যুর বিষয়ে অবগত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শোকদেব সাহা বলেন, সুনামগঞ্জে হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যুর কোন রেকর্ড নেই। এজন্য চারজনের মৃত্যু হিটস্ট্রোকে হয়েছে সেটা বলা যাবে না।
বিবার্তা/শাহীন/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]