
অতি তীব্র তাপদাহ থেকে কবে মুক্তি মিলবে উত্তরাঞ্চলের জেলা পাবনার ঈশ্বরদী বাসীর তা যেন কেউ জানে না। দুই এক দিন পরই তাপমাত্রার পারদ উঠছে উপরের দিকে। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এখানকার জনপদ। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। এরই মাঝে আজ মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
২৯ এপ্রিল, সোমবার বিকেল ৩টায় ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
দিন রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য থাকছে কম। দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদ আর সন্ধ্যার পর ভ্যাপসা গরম নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে ঈশ্বরদীর জনজীবনে। তীব্র গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। গরমের প্রচণ্ডতার মধ্যে বিদ্যুৎ না পেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ জনজীবন।
তাপমাত্রার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন।
তিনি জানিয়েছেন, ঈশ্বরদীতে আজ এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চলে। এ বছরে আজকেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকুল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে। চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে লিচুসহ মৌসুমি ফসল। অতি তাপপ্রবাহের ফলে ঈশ্বরদী বাইপাস রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি রেললাইনের পাত বেঁকে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে রেলওয়ে অফিসের লোকজন দুই ঘণ্টা রেললাইনের ওপর পানি ঢেলে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পর বেঁকে যাওয়া রেলপথ স্বাভাবিক করেন।
এ দিকে প্রচণ্ড খরা ও তাপদাহে লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে। কীটনাশক স্প্রে ও সেচ দিয়েও গুটি ঝরা রোধ করা যাচ্ছে না। লিচু চাষিরা জানান, তারা লিচুর ঝরা প্রতিরোধে নিয়মিত গাছের গোড়া সেচ দিচ্ছেন এবং প্রতিটি লিচু গাছের ওপর পানি ছিটিয়ে দিচ্ছেন।
বিবার্তা/পলাশ/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]