নোয়াখালীতে ২ বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৩, ১৬:৩৫
নোয়াখালীতে ২ বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের নোয়ান্নই গ্রাম ও শাহজাদপুর গ্রামের পৃথক দুই বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে দুই পরিবারের সদস্যদেরকে জিম্মি করে তাদের হাত-পা বেঁধে ঘরে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার,মোটরসাইকেল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।


শুক্রবার (৫ মে) দিবাগত রাত ২ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত নোয়ান্নই গ্রামের বড় বাড়ির আনোয়ার উল্লাহর ঘরে ও পার্শ্ববর্তী শাহজাদপুর গ্রামের আমির হামজার নতুন বাড়িতে আমির হামজার ঘরে এই ঘটনা ঘটে।


আনোয়ার উল্লাহর ছেলে তারেক হোসাইন জানান, রাতে আমরা ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। আমাদের ঘরের এক কক্ষে আমার মামা ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আনুমানিক ২ টার দিকে তার চিৎকার চেঁচামেচিতে আমাদের সবার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভেঙ্গে দেখি ৫-৬ জন সশস্ত্র ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে এবং আমার বাবা ছাড়া বাকি সবার হাত পা বেঁধে ফেলে। ডাকাতদের সবার মুখ গামছা দিয়ে ঢাকা ছিল। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে লোহার ছোড়া দিয়ে আমার হাতে আঘাত করে এবং আমার আঙ্গুল কেটে যায়। আমাদের হাত-পা বেঁধে তারা আমাদের ঘরের আলমারি, ওয়ারড্রব খুলে তাতে থাকা ২ ভরি স্বর্ণালংকার, ঘরের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল, পানির মোটর ও আমার মানিব্যাগে থাকা প্রায় বিশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমাদের ঘরে ডাকাতরা প্রায় ১ ঘন্টা অবস্থান করে। ডাকাতরা ঘর থেকে বের হবার সময় তাদের একজন মোবাইলে তাদের গাড়িতে থাকা কাউকে ফোন করে বলে, 'আমাদের কাজ শেষ, তোমরা আসো।'


আমির হামজার নতুন বাড়ির মোঃ আমির হামজা জানান, রাতে আমাদের ঘরে আমার ছেলে,মেয়ে, স্ত্রীসহ সবাই ঘুমাচ্ছিলাম। রাত সোয়া ৩ টার দিকে আমাদের ঘরের কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে ৬/৭ জনের ঢাকার দল ঘরে ঢুকে আমাকে ও আমার ছেলেকে বেঁধে ফেলে। তারা আমার ঘরে থাকা আমার মেয়ের প্রায় সাত ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৪০ হাজার টাকা ও একটি টেলিভিশন নিয়ে যায়। আমাদের ঘরে ডাকাতরা প্রায় এক ঘণ্টার মতো অবস্থান করে। ডাকাতরা ঘর থেকে বের হবার সময় তাদের একজন মোবাইলে তাদের গাড়িতে থাকা কাউকে ফোন করে বলে, 'আমাদের কাজ শেষ, তোমরা আসো।'


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, নোয়াখালী সদরের বিভিন্ন এলাকায় এ মৌসুমে ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যায়। পুলিশ বিভিন্ন সময় ডাকাতদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও তারা জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে পরবর্তীতে আবার একই কাজে যুক্ত হয়।


নোয়ান্নই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন জুনায়েদ বলেন, গতরাতে আমার এলাকায় দুই বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। দুই বাড়ি থেকে ডাকাতরা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ নিয়ে গেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় আমার ইউনিয়নে বিভিন্ন বাড়িতে একই কায়দায় ডাকাতি হয়। ডাকাতরা মুখোশ পরে ডুকে। তারা ১২/১৪ জনের সংঘবদ্ধ দল। আমাদের গ্রাম পুলিশ রাতে পাহারা দিলেও এখন পর্যন্ত আমরা কোন ডাকাতকে ধরতে পারিনি। আমরা চাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের টহল বৃদ্ধি করুক। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, এই ডাকাতদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন।


এদিকে, শনিবার সকালে ডাকাতি হওয়া ওই দুই বাড়ি পরিদর্শন করেন সুধারাম মডেল থানা পুলিশের একটি দল। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।


বিবার্তা/সবুজ/এনএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com