বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে ৮জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার ভোররাতে রোয়াংছড়ি উপজেলার খাংতামপাড়া নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ দুপুরে ৮জনের লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতদের পরনে জলপাই রঙের পোষাক পরা ছিল। তারা সবাই বম সম্প্রদায়ের বাসিন্দা। এদিকে গুলাগুলির এই ঘটনায় খামতাংপাড়া জুরভারাংপাড়া এবং পানখিয়াং পাড়ার অন্তত ৭০জন বাসিন্দা গ্রাম ছেড়ে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খাবারসহ ঔষুধ সরবরাহ করছে সেনাবাহিনী।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত খামতাংপাড়া পাহাড়ী এলাকায় দুটি পাহাড়ি সন্ত্রাসী দলের মধ্যে ব্যাপক গুলাগুলি হতে থাকে। ওই এলাকাটিতে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। গুলাগুলিতে এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়ে। শুক্রবার সকালে তারা ওই এলাকা ছেড়ে উপজেলা সদরে এসে আশ্রয় নেয়।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, নিহতের পরনে জলপাই রঙের পোষাক পরা ছিল। তবে তাৎক্ষনিক তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খামতাংপাড়া রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এটি রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা। গতকাল সন্ধ্যার দিকে সেখানে সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর পাড়ার বেশির ভাগ বাসিন্দা রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় এসে আশ্রয় নেন।
দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসপি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, “দুটি সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আটজনের মৃতদেহ দেখতে পায়। তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।” পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি কারা এই গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
বিবার্তা/নয়ন/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]