
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদিআরবে ওমরা হজ করতে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রুকু মিয়া। তিন বছর আগে পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে রিকশা চালক রুকু পাড়ি জমিয়ে ছিলেন সৌদি আরবে। সেখানে দাম্মাম এলাকায় রেষ্টুরেন্টে সামান্য বেতনে পরিছন্ন কর্মীর কাজ করতেন তিনি। কিন্তু তার সকল স্বপ্নই অধরা রয়ে গেল।
গত সোমবার বাসে করে ওমরা করতে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যার দিকে বাস দুর্ঘনটার শিকার হলে তিনিও মারা যান। জেলার কসবা উপজেলার কাইয়ুম ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের রুকু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনরা এসে বাকরুদ্ধ পরিবারের লোকজনকে সান্তনা দিচ্ছে। চোখের পানি যেন শুকিয়ে গেছে তাদের। বাড়িতে ছোট দুটি টিনের ঘরে স্ত্রী, দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন নিহত রুকু মিয়ার পরিবার।
নুন আনতে যেন পানতা ফুরায় এখনো পরিবারটির। রুকু মিয়া পরিবারের অভাব মেটাতে এনজিও থেকে ঋন তুলে ও সুদের টাকায় সৌদিআরবে পাড়ি দিয়েছিলেন। তিন বছর যাবত প্রবাসে থাকলেও এখনো শেষ হয়নি ঋনের বোঝা। একদিকে প্রবাসে পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষটির মৃত্যু অপরদিকে মাথার উপর ঋনের বোঝা। এসব চিন্তায় যেন চোখের পানিও শুকিয়ে গিয়ে একপ্রকার বাকরুদ্ধ পরিবারের মানুষগুলো।
পরিবারের লোকজন জানান, মৃত্যুর খবর শোনার পর তাদের সবকিছু যেন শেষ হয়ে গেছে। কিভাবে এই ঋনের বোঝা অন্যদিকে সন্তানদের ভবিষ্যত ভাবিয়ে তুলছে তাদের। তাদের দাবী সরকার যেন দ্রুত মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেন। শেষবারের মতো দেখে যেন দাফন করতে পারেন সন্তানরা।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান জানান, সৌদিআরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কসবার রুকু মিয়ার নিহতের খবরটি শুনেছি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। তার মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বিবার্তা/নিয়ামুল/এমএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]