দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়েছেন কুড়িগ্রামরে চিলমারীর খেটে খাওয়া দিনমজুররা। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। বর্তমানে তাদের বালুচরের কমদামের দোকানই ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এসব দোকানেও প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে কিছুটা। তারপরও খেটে খাওয়া মানুষের স্বস্তির বাজার হয়ে আশা জাগিয়েছে এসব কমদামের দোকান। সীমিত লাভে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড়। সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার বসে এ হাট। এখানে বিশেষ করে চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া দিনমজুররাই পোশাক কিনছেন এসব দোকান থেকে।
চরশাখাহাতী থেকে বালুচরের দোকানে কাপড় কিনতে আশা তারা বেগম বলেন, ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে এসেছি। নতুন কাপড় কিনে দিতে। আমরা তো বড় বড় দোকান থেকে কাপড় কিনতে পারি না। আমরা এখানে যে পোশাক কিনি ১শ থেকে ২শ টাকা আর বড় সব দোকানে গেলে দাম আরও বেশি দিয়ে নিতে হয়। যা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। এসব দোকানে যদিও কাপড়ের মান একটু কম তারপরেও এসবই আমাদের ভরসা।
চরগুজিমারী থেকে ছক্কু মিয়া এই হাটে এসেছেন বাজার করতে। তিনি কমদামী এই সব দোকানে গিয়ে একটি গামছা কিনলেন ৫০ টাকা দিয়ে। অথচ এই গামছাটি থানাহাট বাজারের কোনো দোকান থেকে কিনতে হলে ৭০ থেকে ৮০ টাকা গুনতে হতো। তাই বালু চরের এই কাপড়ের দোকানই আমাদের ভরসা।
উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ বাজারের সামনে বিশাল বালুচরে সপ্তাহের রবিবার ও বুধবার বসে এই হাট। এখানে অষ্টমীরচর, নয়ারহাট, চিলমারী ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক চরের মানুষ আসে কেনাবেচা করতে। সাশ্রয়ী মূল্যে কেনাবেচা করেন চরাঞ্চলের বিভিন্ন মৌসুমের ফসল। শতবর্ষী এই হাটটি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিকভাবে বেশ সহযোগিতা করে। এই হাটে এ উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষও আসেন পণ্য কেনাবেচা করতে।
সরেজমিনে দিনব্যাপী রবিবার এ হাট ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা গেছে বিস্তীর্ণ চরের বিশাল এক হাট বসে। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এই হাটে।
খোলাবাজারের কমদামের কাপড়ের দোকানের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাচ্চাদের ছোট প্যান্ট ২০টাকা, বড় প্যান্ট ২৫ থেকে ৩০টাকা। টি-শার্ট ২০ থেকে ৪০টাকা প্রতি পিস। লুঙ্গি ৩শ থেকে ৫শ টাকা, গামছা বিক্রি হচ্ছে ৫০/১০০টাকা।
উলিপর থেকে আসা কাপড় ব্যবসায়ী সাইফুল রহমান বলেন, তিনি প্রতি হাটে এখানে কাপড়ের দোকান দেন। প্রতি হাটে ১ থেকে ২ হাজার টাকা বিক্রি হয়। এখানে বেশির ভাগ ক্রেতা চরাঞ্চলের মানুষ।
সীমিত লাভে এখানে কাপড় বিক্রি করেন জোড়গাছ ভট্টপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল করিম। তিনি জানান, বড় বড় সব দোকানের তুলনায় এখানে কম দামে কাপড় বিক্রি করি। সপ্তাহে দুই দিন এই হাটে কাপড় কেনাবেচা হয়। অনেকেই আসেন চর থেকে। তাদের কাছে আমরা সীমিত লাভে কাপড় বিক্রি করি।
বিবার্তা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]